চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে চট্টগ্রাম নগরীতে একটি পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি করেছে পুলিশ। তবে পুকুরে অস্ত্র না মিললেও থানা থেকে লুট হওয়া দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে।
গ্রেফতার হওয়া এক আসামির তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধারে পুকুরের পর নগরীর পাহাড়তলী থানা পুলিশ সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে।
এর আগে, সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা বিটাক মোড় এলাকায় ব্রাহ্মণ পুকুরে জাল ফেলে তল্লাশি করে পুলিশ।
পাহাড়তলী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাবুল আজাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। প্রথমে আমরা পুকুরে তল্লাশি করেছি। সেখানে অস্ত্র পাওয়া যায়নি। দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া গেছে। সেগুলো আমাদের থানার মোটর সাইকেল। ভাংচুরের পর সেগুলো পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছিল। এখন আমরা ইস্পাহানি রেলগেটের উত্তরে পাহাড়ে অভিযানে আছি।’

অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মোটরসাইকেল পাওয়া যায়
থানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার এক আসামিকে গ্রেফতারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চলছে বলে ওসি জানান। তবে আসামির নাম-পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাবার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সারাদেশে জনতা রাজপথে নেমে আসে।
ওইদিন বিকেল থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশে পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী, পাহাড়তলী, পতেঙ্গা ও ইপিজেড থানা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং লুটপাট করা হয় অস্ত্রাগার ও মালখানা।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, পাহাড়তলী থানা থেকে লুট হওয়া আটটি পিস্তল, দুটি চাইনিজ রাইফেল, তিনটি এসএমজি, ছয়টি শটগান ও ৩৫টি মোটরসাইকেলের কোনো হদিস মেলেনি। সেগুলো উদ্ধারে অভিযান চলছে।