ভারতের পর পাকিস্তানকেও বধ করল কামিন্স
৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:৪০ | আপডেট: ৪ নভেম্বর ২০২৪ ২০:২১
প্যাট কামিন্স শেষ কবে ওয়ানডে খেলেছে, মনে করতে পারেন? ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদে। ভারতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর আজই প্রথম ওয়ানডে ফরম্যাটে নামলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। মূল দায়িত্ব বোলিং হলেও প্রায় এক বছর পর এই ফরম্যাটে ফিরেই দলকে জেতালেন ব্যাট হাতে। মেলবোর্নে সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল অজিরা।
পাকিস্তানের ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে হারের মুখেই ছিল অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে দলীয় দেড়শো পেরোনোর আগেই অজিদের ছয় উইকেট নিয়ে জয়ের সুবাস পাচ্ছিলেন হারিস রউফ-নাসিম শাহরা। কিন্তু সেখান থেকে কামিন্সের দায়িত্বশীল ৩১ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দুই উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের শুরুতে অবশ্য তেমন হ্যাপা পোহাতে হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ৮৫ রানের জুটিতে হাল ধরেন স্মিথ-লাবুশেন। তবে টানা দুই ওভারে জস ইনগ্লিস, লাবুশেন আর ম্যাক্সওয়েলের উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় অজিরা। কামিন্স যখন উইকেটে যান, অস্ট্রেলিয়ার স্কোরকার্ড তখন ১৫৫/৭।
ইনিংসের তখনও প্রায় অর্ধেক ওভার বাকি, জয় থেকে আরো ৪৯ রান দূরে দল; সেটাও মনে হচ্ছিল অনেক দূরের পথ। অষ্টম উইকেটে শন অ্যাবটের সাথে ম্যাচ বাঁচানো ৩০ রানের জুটিতে সেই দুরত্ব কমিয়ে আনেন কামিন্স। তবে ১৮৫ রানের মাথায় অ্যাবট ফিরলে বিপদ বাড়ে অজিদের। এমসিজির বাউন্সি উইকেটে অজি টেইলএন্ডারদের তখন কঠিন পরীক্ষাই নিচ্ছিলেন পাকিস্তানি পেসাররা। দলের বিপদে স্টার্ককে একপ্রান্ত আগলে রাখার দায়িত্ব দিয়ে রান তোলেন কামিন্স। উইকেট বাঁচিয়ে রেখে ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে ৩৪-তম ওভারে এক চার ও এক সিংগেলে জয় নিশ্চিত করেন কামিন্স।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে এমসিজির বাউন্সি উইকেটে স্টার্ক-কামিন্সদের তোপের মুখে ১১৭ রানেই ছয় উইকেট হারায় এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামা পাকিস্তান। দলীয় দুইশো পেরোনোর কৃতিত্ব দিতে হবে নাসিম শাহকে। নয় নম্বরে নেমে ৩৯ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলেন এই টেইলএন্ডার। শুরুতে অজি পেসারদের বাউন্স-গতির সাথে যা একটু লড়তে পেরেছেন বাবর আজমই। মাঠ ছেড়েছেন ৪৬ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলে।
স্টার্ক তিনটি, দুটি করে উইকেট নেন কামিন্স ও লেগ স্পিনার জাম্পা।
সারাবাংলা/জেটি/এফএম