‘কর্ণফুলী টানেল নিয়ে কিছু করার নেই’
৫ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:০৪
ঢাকা: কর্ণফুলী টানেলের প্রয়োজনীয়তা-অপ্রয়োজনীয়তা নিয়ে কিছুদিন ধরে গণমাধ্যমে নানা সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। বিষয়টি নজরে নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, কর্ণফুলী টানেল নিয়ে এখন নানাধরনের প্রতিবেদন হচ্ছে। কিন্তু এখন এটা নিয়ে কিছু আর করার নেই। কারণ, প্রকল্পটা হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রেল ভবনে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সদস্যদের সঙ্গে উপদেষ্টার মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি যেকোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে সাংবাদিকদের প্রতি পরামর্শ দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘সাংবাদিকদের অনুরোধ করব আপনারা আগেই একটা প্রকল্পের ভালো-খারাপ সুবিধা-অসুবিধা, কোনো রাজনৈতিক বিবেচনায় কিছু হচ্ছে কি না সেই বিষয়গুলো আগেই তুলে ধরবেন। তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।’
উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রেল মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সবাই তার বাড়ির কাছে রেল স্টেশন চায়। সেটা হয়তো আমরা দিতে পারব না। তবে রেলের রুট রেশনালাইজেশনের কাজে হাত দিয়েছি। সেই জায়গায় আপনাদের সহযোগিতা চাই। এরই মধ্যে আমরা ই-টিকিটিং ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনেছি। আপনারা হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন।’
সড়ক ও রেলসংক্রান্ত তথ্য সাংবাদিকদের পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তবে এটাও সত্য তথ্য গোপন করার একটা বিষয় থাকে। কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ার পরে তথ্য দেওয়া যেতে পারে। সড়ক ও রেলে আর তথ্য পেতে কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। দুই মন্ত্রণালয়ের সচিব বিষয়গুলো দেখবেন।’
তথ্যের অবাধ প্রবাহের বিষয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘কোন তথ্যগুলো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য ওয়েবসাইটটা নিয়মিত আপডেট রাখতে হবে। এই বিষয়গুলো রেল ও সড়ক সচিব দেখবেন।’
রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই। কাউকে বেআইনিভাবে প্রকল্প দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের তথ্য দিলে আমাদের কোনো অসুবিধা নেই।’
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম