জয় ঘোষণার আগেই ট্রাম্পকে অভিনন্দন মোদির
৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪১
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় ঘোষণার আগেই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরালো করার প্রত্যয় জানিয়ে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বুধবার (৬ নভেম্বর) স্থানীয় সময় মধ্যরাত পেরোতেই ভোটের ফলে জয়ের সুবাস পাচ্ছেন ট্রাম্প।
সবশেষ ফলাফল বলছে, ২৬৭ ইলেকটোরাল কলেজ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের দ্বারপ্রান্তে ট্রাম্প। জয় নিশ্চিত করতে তার আর মাত্র তিনটি ইলেকটোরাল কলেজ প্রয়োজন। যে পাঁচটি রাজ্যের ফল ঘোষণা এখনো বাকি, সেগুলোতেও এগিয়ে থাকায় ট্রাম্পের জয় কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় বলেই মনে করা হচ্ছে।
নরেন্দ্র মোদি অবশ্য সেই ঘোষণার অপেক্ষায় বসে নেই। ট্রাম্পের ইলেকটোরাল কলেজ ২৩০ পার হতে না হতেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
দুজনের পুরনো কিছু ছবি পোস্ট করে মোদি লিখছেন, ‘বন্ধু ট্রাম্প, ঐতিহাসিক জয়ে আপনাকে উষ্ণ অভিনন্দন। আপনার আগের মেয়াদে যে সাফল্য আমরা অর্জন করেছিলাম, আমাদের সেই সহযোগিতাকে আবার নবায়ন করে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক বৈশ্বিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার করতে আমি মুখিয়ে আছি।’
একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মোদি বলেন, ‘আসুন, আমাদের জনগণের উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নতির জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করি।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির ‘ঘনিষ্ঠতা’ অবশ্য নতুন নয়। দুজনেই খোলাখুলি দুজনকে ‘ভালো বন্ধু’ বলে অভিহিত করে থাকেন। ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্ক গতি পায়।
ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নরেদ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন সফর করেছিলেন ২০১৯ সালে। পরে ট্রাম্পও ২০২০ সালে ভারতের আহমেদাবাদে সফরে গিয়েছিলেন। এসব সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনীতি নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন মাত্রা পায়। এ ছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সাইডলাইনেও দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছিল নিয়মিত চিত্র।
এবারেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে ট্রাম্প এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে মোদিকে ‘ভালো বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন। দুজনের সম্পর্কের ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী হিন্দুদের নিরাপত্তায় কাজ করার প্রত্যয় জানিয়েছিলেন।
একই পোস্টে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে অভিযোগ করে নিন্দা জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভোটারদের ভোট টানতে ওই পোস্ট ছিল ট্রাম্পের একটি কৌশলমাত্র।
সারাবাংলা/এইচআই/টিআর