Thursday 12 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমানত নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই: বাংলাদেশ ব্যাংক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪১ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০৯

বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: ব্যাংকে রাখা আমানত নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বেশি গ্রাহক একযোগে টাকা তুলতে গেলে পৃথিবীর কোনো ব্যাংকই টিকবে না, টাকা দিতে পারবে না। তাই গ্রাহকদের উদ্দেশে বলব— অহেতুক আতঙ্কের কিছু নেই। গণমাধ্যমকেও গ্রাহকদের আতঙ্ক কাটাতে এ বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

হুসনে আরা শিখা বলেন, ব্যাংকগুলোকে ভালো অবস্থানে নিয়ে আসতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপরিকল্পনা আছে। আমানতকারীদের আহ্বান জানাব, আপনারা প্রয়োজনের বেশি টাকা তুলবেন না। আমরা ব্যাংক খাতে আস্থা ফেরাতে চাই। সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে গত দেড় মাসে পাঁচ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সাপোর্ট দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক ১১টি ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করে দিয়েছে। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর দিকে মনোযোগী হয়েছে।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রিসিভার বসানো বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে রিসিভার নিয়োগ করবে না। আদালতের নির্দেশ থাকলেই কেবল সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।

অর্থপাচার নিয়ে হুসনে আরা বলেন, পাচার করা অর্থ ফরমাল চ্যানেলে হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তদন্ত করবে। তবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার হলে সেটা তদন্ত করা কঠিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ এসব নিয়ে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠীগুলোর ঋণ সংক্রান্ত অনিয়ম নিয়ে তিনি বলেন, বিএফআইইউ এরই মধ্যে অনেক হিসাব জব্দ করেছে। তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কোনো তথ্য দেয়নি।

ব্যাংক খাত সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই মুখপাত্র বলেন, টাস্কফোর্স কার্যকর কিছুই করছে। একটি টাস্কফোর্স ব্যাংকিং খাতের সংস্কার, অন্যটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জনবলের দক্ষতা বাড়ানো এবং তৃতীয়টি পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশের আইনজীবী, কনসালট্যান্ট নিয়োগের কাজ চলছে।

হুসনে আরা আরও শিখা বলেন, অর্থপাচারের বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। এটি আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হবে। জোর-জবরদস্তি করে হবে না। আমাদের প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে চলে এসেছে। এ দেশ থেকে শুধু যে রেমিট্যান্স এসেছে তা নয়, বিনিয়োগও এসেছে। এটিও আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

গ্রাহকের আমানত বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর