এবার একযোগে ৯ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
৬ নভেম্বর ২০২৪ ২২:১৯
ঢাকা: বাংলাদেশ পুলিশের ৯ জন কর্মকর্তাকে একযোগে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বাকি আটজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক ৯টি প্রজ্ঞাপনে এই ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। প্রজ্ঞাপনগুলোতে সই করেছেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
যে ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা এপিবিএনের ভূঁইয়া মাহবুব হাসান। আট সহকারী পুলিশ সুপারের মধ্যে তিনজন সিআইডির— মেহেদী হাসান ঝন্টু, মো. জিয়াউর রহমান (এপিবিএনে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) ও মো. আক্তারুজ্জামান। বাকি পাঁচজন হলেন— এসবির আবু মো. ফজলুল করিম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের রনজিত কুমার বড়ুয়া, বেতবুনিয়া পিএসটিএসের অপ্পেলা রাজু নাহা, সিলেট মহানগর পুলিশের মো. মিজানুর রহমান ও মাধবপুর সার্কেলের মো. আজিজুর রহমান সরকার।
প্রজ্ঞাপনগুলোতে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্যদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন)-এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) সাবেক প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম ও সদ্য সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
এক সপ্তাহ পরে ২১ আগস্ট পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি মো. আতিকুল ইসলাম, মো. আনোয়ার হোসেন ও সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
এরপর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাহাবুবর রহমান, সদ্য সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া ও পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্রকেও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনের সাবেক কমিশনার পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজি কৃষ্ণপদ রায়, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মো. মোজাম্মেল হক ও খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সরদার রাকিবুল ইসলামকে অবসরে পাঠানো হয়।
গত ২ সেপ্টেম্বর বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয় ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মীর রেজাউল আলম, পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির, সিআইডির ডিআইজি মো. ইমাম হোসেন ও নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবিরকে।
তিন সপ্তাহ পর ২২ সেপ্টেম্বর রেলওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, শিল্পাঞ্চল পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) এ কে এম হাফিজ আক্তার, ঢাকা পুলিশ টেলিকমের উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বশির আহম্মদ, আরআরএফের পুলিশ সুপার (পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্তির আদেশপ্রাপ্ত) মো. মীজানুর রহমান, এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম ও ডিএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. দাদন ফকিরকে অবসরে পাঠায় সরকার।
পরদিনই পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার পাঁচ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তারা হলেন— বান্দরবান ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান, সিআইডি ফেনীর মো. শাহজাহান, চট্টগ্রামের মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁন, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের মহসিনুল কাদির ও শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের আনিচুর রহমান মোল্ল্যা।
সবশেষ গত ৯ অক্টোবর র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ, হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. শাহাবুদ্দিন খান ও ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (অতিরিক্ত আইজিপি সুপারনিউমারারি) বর্তমানে ট্যুরিস্ট পুলিশে কর্মরত ড. খ. মহিদ উদ্দিনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর