নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করছে বিএনপি
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১২:৩৯ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭
ঢাকা: ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর আজ। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করছে বিএনপি।
১৯৭৫ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের প্রতিটি দিনই ছিল বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ দিন ৭ নভেম্বর। এদিন স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষার দৃঢ় প্রত্যয়ে সিপাহি-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। এর মধ্য দিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান বীরউত্তমকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তার কাঁধে। তিনি ছিলেন এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের নায়ক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। সেদিন সিপাহি-জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে আসে। তাদের সচেতনতা ও দেশপ্রেম সেদিন দেশকে ভয়াবহ এক অনিশ্চয়তা থেকে রক্ষা করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মাধ্যমেই রক্ষা পায় সদ্য অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জনজীবনের বিশৃঙ্খলাসহ তৎকালীন বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটে। যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে এক নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করে। অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে দেশে সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরে আসে। এর পর থেকেই ঐতিহাসিক এই দিনটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহি-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমণ্ডিত।’
পৃথক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখনো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত উত্তরণ হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ সাধন করতে হবে। ৫ আগস্টের পরে দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।
কর্মসূচি
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে গত মঙ্গলবার থেকে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। আজকের কর্মসূচিতে আছে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ। জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) গেট সংলগ্ন বহিরাংশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানী ঢাকায় ও জেলায় জেলায় র্যালি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এদিকে এক বিবৃতিতে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, ১২-দলীয় জোটসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও নানা কর্মসূচি পালন করছে।
সারাবাংলা/এজেড/এমপি