‘বিএনপি নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না’
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:২২ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপি নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বলে জানিয়েছেন সদ্য শপথ নেওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর দুই নম্বর গেইটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে সেটা ইতিহাসে থাকবে। আমি আবারও বলছি মাওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকসহ যাদের ইতিহাসে অবদান আছে তাদের নাম স্মরণীয় করে রাখতে হবে। সেটার ইতিহাস বিকৃত করা যাবে না।’
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘যার যা ইতিহাস আছে সেখানে থাকবে। আমরা কারও নামফলক মুছে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই নতুন প্রজম্ম সঠিক ইতিহাস জানুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে। ইতিহাস বিকৃত করে তারা সব জায়গায় বাণিজ্যিক রুপ দিয়েছে। ইতিহাস ইতিহাসের গতিতে চলবে। আওয়ামী লীগের যে সঠিক ইতিহাস আছে সেটাকে আমরা বিকৃত করতে চাই না। ঠিক তেমনি বিএনপির যুগে যুগে অথবা দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে যেসব মহানায়করা একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল তাদের ইতিহাসকেও আমরা বিকৃত করতে চাই না।’
বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন উনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। উনি পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে উনার কোর্ট মার্শাল হতে পারত।’
মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন উনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত স্থান। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারা এখানে কোনো দোকান দেয়নি, কোনো কিছু করেনি। এ ধরনের চিন্তা বিএনপির যারা নেতা ছিল তাদের মাথায় কখনও আসেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের লুটপাটকারীরা যখন ক্ষমতা নিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে এ বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। বিপ্লব উদ্যানে মার্কেটের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে কাল সেগুলো ভেঙ্গে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
‘এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে৷ এখানে আবারও পাখি ডাকবে। মানুষ হাঁটবে ও অক্সিজেন নেবে। এখানে মালিক সমিতির যিনি সেক্রেটারি আছেন আমি তাকে নির্দেশ দিচ্ছি কাল সেগুলো ভেঙ্গে দেবেন। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সেখানে থাকবেন। আমরা এখানে একটি গ্রিন পার্ক করব।’ – যোগ করেন তিনি।
এসময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব আশরাফুল আমিনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/এমপি