খুনের মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৪০ | আপডেট: ৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে নারীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আদালত আরেক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন ও আরেকজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডিত নেজাম উদ্দিন (৩০) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড রাজানগর এলাকার বাসিন্দা। অন্যদিকে যাবজ্জীবন দণ্ডিত আবদুল হালিম (৪৫) ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চর আইচা গ্রামের বাসিন্দা। খালাস পাওয়া ব্যক্তির নাম আবু ছিদ্দিক রুবেল।
মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ মে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার মুরাদনগর এলাকায় চতুর্থ তলার একটি বাসা থেকে রেবেকা সুলতান মনি নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ভবনের দারোয়ান আবু ছিদ্দিক রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ২০ মে নেজামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে নেজাম জানায়, মুরাদনগরের ওই বাসায় আসামি আবদুল হালিম পতিতার ব্যবসা করতেন। সেখানে মাঝেমধ্যে নেজাম যেতেন। খুনের শিকার মনি হালিম থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা পেতেন। সে টাকা দিতে হালিমকে চাপ দিতে থাকেন মনি। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মনিকে খুন করার জন্য নেজামকে জানান হালিম। ওই বছরের ১১ মে নেজাম মনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন এবং বাসা তালা মেরে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় তৎকালীন বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) রেজাউল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০২২ সালের ১ আগস্ট তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় আদালত। ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ সারাবাংলাকে জানান, খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নেজাম উদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অন্য আসামি আবদুল হালিমকে সশ্রম যাবজ্জীবন, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আবু সিদ্দিক রুবেলকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রায়ের সময় নেজাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি আবদুল হালিম পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আইসি/এমপি