যশোরে জামায়াত নেতা হত্যার ঘটনায় অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতার ৫
৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪১
যশোর: যশোরে ছুরিকাঘাতে জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজল হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই আসামিসহ কিশোর গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে হত্যা এবং বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত অস্ত্র ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) শহরতলির খোলাডাঙ্গা গাজিরহাট বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর ডিবির ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম শহিদ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
জামায়াত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় খোলাভাঙ্গা গাজিরহাট বাজার থেকে দুই আসামি সাদমান রহমান সাকিন (১৯) ও আল-আমিন হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে তারা।
আসামিদের পূর্বের ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ জব্দ করে পুলিশ। ফুটেজটি পর্যালোচনায় মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী লাবিব, সাকিনসহ ৪-৫ জন একটি মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিতে দেখা যায়।
ভিডিওর সূত্র অভিযান পরিচালনা করে ভিডিও ফুটেজে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের আরও তিন সদস্য রায়হান আহমেদ (২১), আব্দুর রহমান সাগর (২১) ও রিয়াদ হাসানকে (২১) গ্রেফতার করা হয়। আসামিরা সকলে যশোর শহরতলী ও শহরের খোলাডাঙ্গা ও খড়কি এলাকার বাসিন্দা।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রায়হানের বসতবাড়ি থেকে ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় ও লাবিবের বাসা থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আল-আমিন ও সাকিন নিজেদেরকে জামায়াত নেতা সজলের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৩-১৪ জনের নাম প্রকাশ করে। তারা জানায় যে, ঘটনার ১৫-২০ দিন আগে এলাকার ফখরুল ইসলামের এক স্বজনকে আসামী স্বরন ও রবিন পথরোধ করে ব্যাগ তল্লাশীর ঘটনায় ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে নিহত সজলকে নিয়ে প্রতিবাদ করে।
এ সময় স্বরণ, লাবিব ও রবিনকে চড়থাপ্পর মারেন নিহত সজল। সেই আক্রোশে স্বরণ, লাবিব ও রবিন সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে ১০-১২ জনের সহযোগিতায় গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নামাজে যাওয়ার সময় সজলকে গতিরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সজল স্থানীয় জামাত নেতা।
এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেছেন বলে জানান ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম শহিদ।
সারাবাংলা/এসআর