স্বস্তি ফিরছে সবজির বাজারে
৮ নভেম্বর ২০২৪ ১০:০৫ | আপডেট: ৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৮
ঢাকা: শীতকালীন শাক-সবজির আসতে শুরু হওয়ায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করায় এরই মধ্যে বেশির ভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে পুরাতন আলুর দাম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে।
এছাড়া মাছ, মাংস, ডিম, মুরগির বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর চলতি সপ্তাহে দাম না বাড়লেও তা উচ্চ মূল্যে স্থির হয়ে আছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী ও কল্যাণপুরের কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এইদিন আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা শফিক মিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির আসতে শুরু করায় বাজারে বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম কমেছে। আগামী সপ্তাহে আরও কমতে পারে। কারণ শীতকালীন সবজি আসা শুরু হয়েছে মাত্র। শীতকালীন শাক-সবজির ভরা মৌসুমে এখনও শুরু হয়নি।’
শ্যামলীর সবজি বিক্রেতা বিল্লাহ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কিছুটা কমেছে। তবে গাজর, টমেটো, কাঁচা মরিচসহ কয়েকটি সবজির দাম আগের মতোই আছে।’
শুক্রবার বাজারে কাঁচা মরিচ ১৮০-২০০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১৫০-১৬০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি (মাঝারি আকারের) ৫০-৫৫, করলা ৭০- ৭৫ টাকা, উস্তা ৬০-৬৫ টাকা, গোল বেগুন (কালো) ৭০-৮০, লম্বা বেগুন ৬৫-৭৫ টাকা, সিম ১৩০-১৪০ টাকা, কচুর মুখী ৬০-৭০, কচুর লতি ৬৫-৭০, কাঁকরোল ৬০-৬৫ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স, ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। টমেটো ১৭০-১৮০, গাজর ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এইদিন ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৪০-৫০ টাকা, পাতি লাউ (মাঝারি আকারের প্রতি পিস) ৪০-৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক, ২৪-৩০, পুঁইশাক এবং মুলা শাক, লাল শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। লেবু (মাঝারি আকারের) ২০-২৫ টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা যায়।
বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১৪০-১৫০ টাকা, রসুন ২২০-২৪০ টাকা, আদা ২০০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে।
বাজারে ফার্মের বাদামী রঙের ডিম ডজন প্রতি ১৫০-১৫৫ টাকা, ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ১৪৫-১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ৮০ টাকা হালি, কোয়েল পাখির ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। গত ১৬ অক্টোবর থেকে তা কার্যকর করা হয়েছে।
সরকার গত ১৫ অক্টোবর থেকে উৎপাদক পর্যায়ে প্রতিটি ডিম ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা। খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় বিক্রির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। সে হিসেবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।ন
এইদিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএনপি বাজারে মুরগি বিক্রেতা রবিউল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, আজ ব্রয়লার ১৯০-২০০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগির দাম ৩১০-৩২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার মুরগি ৩১০-৩২০ কেজি দরে দরে বিক্রি করছি।
বাজারে দেড় কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের রুই মাছ ৪০০-৪২০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি, সিং ৪০০-৪৫০ টাকা, গুলশা ৭৫০-৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ৭০০-৭৫০ টাকা, কাচকি ৩৫০-৪০০ টাকা, মলা ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। মাঝারি সাইজের তেলাপিয়া, পাঙাস, সিলভার কার্প ও চাষের কই কেজিপ্রতি ২৩০-২৫০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হতে দেখা যায়।
এছাড়া, গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি দরে এবং খাসির মাংস ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়
তবে বাজারভেদে সব ধরনের শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগির দাম ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কম বেশি হতে পারে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসডব্লিউ