জার্মানিতে আস্থাভোটের জোরালো দাবি বিরোধীদের
৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৯ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২২
অর্থমন্ত্রী লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার ফলে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছর মার্চের শেষে নির্বাচন আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
আগামী বুধবার (১৩ নভেম্বর) শলৎস তার পরিকল্পনা বুন্ডেস্টাগে ঘোষণা করবেন। শলৎস জানিয়েছেন, তিনি জানুয়ারিতে আস্থাভোট নিতে চান।
শলৎস ও প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ-এর নেতা ফ্রিডরিখ মেরজের মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠক হলেও তা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আনতে পারেনি। পরে মেরজ প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে ধারণা করা হচ্ছে তারা আগাম নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছেন। আরেক বিরোধী দল এএফডিও আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে চ্যান্সেলর শলৎস অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারকে বরখাস্ত করার পর এফডিপি দলের আরও দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেন, এবং প্রেসিডেন্ট তাদের বরখাস্তের সার্টিফিকেট দেন। শলৎস পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ফলকার উইসিংকে দিয়েছিলেন, তবে তিনি দল ত্যাগ করায় বিচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে।
বর্তমানে শলৎস বুদাপেস্টে ইউরোপীয় নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। ডিডাব্লিউ’র সংবাদদাতা ম্যাথিউ মুরের মতে, শলৎস অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকলেও তার নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ফ্রিডরিখ মেরজ শলৎসকে দ্রুত নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, এই পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না। তার মতে, শলৎস সরাসরি নির্বাচন চাচ্ছেন না বরং দলকে সংগঠিত করে সময় নিয়ে নির্বাচনে যেতে চান।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা অনুসারে, জার্মানির ৬৫ শতাংশ মানুষ দ্রুত আস্থাভোট চায়, যেখানে সিডিইউ-এর সমর্থন ৩৪ শতাংশ। এএফডি ১৮ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছে এবং এসপিডি তৃতীয় স্থানে রয়েছে ১৬ শতাংশ সমর্থন নিয়ে।
এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মন্তব্য করেছে যে, রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হওয়ার পর থেকে জার্মানির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পতন হয়েছে এবং তারা রাশিয়ার গ্যাস ধরে রাখতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী।
সারাবাংলা/এনজে