৫ বাচ্চা দিয়ে শুরু করে সুমন এখন ৫০০ তিতিরের মালিক
১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:০০ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৫
নওগাঁ: তিতির শোভাবর্ধনকারী পাখিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদের খাদ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় লাভ বেশি। তিতিরের মাংস ও ডিম সুস্বাদু। আর গ্রামীণ পরিবেশেই হাঁস-মুরগির সঙ্গেই এগুলো লালন-পালন করা যায়। বাংলাদেশে আছে সাধারণ তিতির ও কালো তিতির। এদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রাকৃতিক খাবার খায় বলে খরচ কম। উন্নতমানের ঘর দরকার হয় না। এরা ৬/৭ মাস বয়সেই ডিম দেয়। একটি তিতির বছরে ১০০-১২০টি ডিম দিতে পারে। ডিম ফুটাতে কৃত্রিমভাবে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ২৭-২৮ দিন সময় লাগে।
তিতির পাখি পালন করে ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে নওগাঁর মান্দার কিত্তলী গ্রামের সুমন কর্মকারের। মৃত্যুঝুঁকি কম হওয়ায় তিতির পালনে আমিষের অভাব পূরণের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হয়েছে তার।
সুমন কর্মকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘২০২২ সালে টিভিতে প্রথম দেখে মাত্র পাঁচটি তিতিরের বাচ্চা দিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার খামারে ৫০০ তিতির পাখি আছে। তিতিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। প্রাকৃতিক খাবার খায় বলে খাদ্য খরচ কম। এদের খাবারের পছন্দের তালিকায় রয়েছে কচি ঘাস, ঘাসের বিচি, পোকামাকড়, মাটি, ধান, গম, ভুট্টা ভাংগা, ধানের কুড়া, ভাত ইত্যাদি। এদের জন্য উন্নতমানের ঘর দরকার হয় না। খুব বেশি জিনিসপত্র লাগে না। ডিম ভাঙার সম্ভাবনা কম থাকে। সেজন্য এই পাখি পালন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক বড় বড় হোটেল ও রেস্তোরায় এই তিতিরের মাংসের বেশ কদর আছে। সবকিছু বাদ দিয়ে প্রতি মাসে অন্তত ৫০ হাজার টাকা আয় হয় আমার।’
বেকারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চাকরির জন্য না ঘুরে স্বল্প খরচে তিতির পাখি লালন-পালন করলে বেকার থাকতে হবে না। আমিও চাকরির জন্য না ঘুরে তিতির পালনে মনোযোগ দিয়েছি। যদি কেউ তিতির পালন করতে চায় তবে আমি সহযোগিতা করব।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ডিম পাড়ে তিতির। প্রতিটি ডিমের ওজন ৪০-৪৫ গ্রাম হয়ে থাকে। মুরগির চেয়ে এদের রোগবালাই কম হয়। ডিমও দেয় বেশি। এ জন্য তিতির পালন লাভজনক। সেজন্য বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে এ পাখি পালনের যথেষ্ট সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম