চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় ভারতে ৯ মাসে ৩২৩৮ প্রাণহানি
৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৭
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের ৯৩% দিন ভারত চরম আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়েছে, যা প্রথম নয় মাসের ২৭০ দিনের মধ্যে ২৫৫ দিনকে প্রভাবিত করেছে বলে সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সিএসই-র প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে চরম আবহাওয়ার মধ্যে হিমবাহ গলানো, প্রবল তাপদাহ, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা এবং ঝড় অন্তর্ভুক্ত ছিলো। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতির ফলে প্রায় ৩ হাজার ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সাথে ৩.২ মিলিয়ন হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পরিকাঠামোতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
সিএসই-এর ‘জলবায়ু ভারত ২০২৪: চরম আবহাওয়া ঘটনার মূল্যায়ন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।
সিএসই-এর মহাপরিচালক সুনিতা নারায়ণ বলেছেন, ২০২৪ সালের রেকর্ড ভাঙ্গা এই পরিসংখ্যান জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। এই ঘটনাগুলি প্রতি শতাব্দীতে একবার করে ঘটলেও এখন প্রতি পাঁচ বছর বা তারও কম সময়ের ব্যবধানে ঘটছে।
তিনি আরও বলেন, আবহাওয়ার এই সকল পরিস্থিতি খাপ খাইয়ে নেয়ার মতো সম্পদ এবং শ্রমেরও ঘাটতি রয়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি ছিল ভারতে ১৯০১ সালের পরের নবম শুকনো মাস। ফেব্রুয়ারিতে ১২৩ বছরে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মে মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। মে মাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসে ১৯০১ সালের পর সর্বোচ্চ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
অন্যদিকে, আসামে ১২২ দিন ব্যাপী অতিবৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটে, যার ফলে রাজ্যের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। সারা দেশে বন্যার কারণে ১ হাজার ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিএসই-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, মধ্যভারত চরম আবহাওয়ার সবচেয়ে বেশি মুখোমুখি হয়েছে। এর পরের অবস্থান ছিলো উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে। মৃত্যুর সংখ্যায়, মধ্যভারতে সর্বোচ্চ মৃত্যু ১ হাজার ১ জন এবং উত্তর-পশ্চিমে ৭৩৪ জন।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক রাজিত সেনগুপ্ত বলেন, তাপপ্রবাহ ২১০ জনের মৃত্যু ঘটালেও, উত্তর ভারতে কৃষক ও শ্রমিকদের উপর দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ তাপমাত্রার স্বাস্থ্য প্রভাব পর্যাপ্তভাবে নথিভুক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা এই চরম পরিস্থিতির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকে প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
সারাবাংলা/এনজে