যমুনায় নাব্যতা সংকটে আরিচা-কাজিরহাট রুটে বন্ধ ফেরি চলাচল
১০ নভেম্বর ২০২৪ ১০:৫৭ | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩২
মানিকগঞ্জ: যমুনা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজিরহাট নৌরুটে শুক্রবার (৯ নভেম্বর) রাত থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল।
ফেরি বন্ধ হওয়ায় নদীর উভয়পাড়ে পার হতে আসা পণ্যবাহী ট্রাকসহ দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়েছে। বিশেষ করে কাজিরহাট ঘাট ভোগান্তি বেশী। সংকট নিরসনে নদীতে ড্রেজিং করেও কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা অঞ্চলের ম্যানেজার আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘এ নৌরুটে বর্তমানে ৪টি রো-রো ফেরি চলাচল করে। যানবাহন নিয়ে প্রতিটি ফেরি চলতে গেলে কমপক্ষে ৮ ফুট নাব্যতার প্রয়োজন হয়। গত কয়েকদিন নদীতে পানি কমতে থাকায় মূল চ্যানেলের বিভিন্ন অংশে ডুবোচর জেগে উঠেছে। ওই সব স্থানে পানির গভীরতা ৬ ফুটের নিচে নেমে গেছে। এতে কোনোভাবেই ফেরি চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।’
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম নাসির মোহাম্মদ চৌধুরী জানান, বিগত কয়েকদিন ধরে নাব্যতা সংকটের কারণে ওই নৌ রুটের আরিচা ঘাটের অদূরে ডুবোচরে ফেরি চলতে গিয়ে আটকে যাচ্ছিল। এরপরও হাফলোড নিয়ে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ফেরি সার্ভিস চালু রাখা হয়। কিন্তু নদীতে পানি দ্রুত কমতে থাকায় চ্যানেলটি আরো সরু হয়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়।
এদিকে বিআইডব্লিটিএর ড্রেজিং ইউনিটের আরিচা অঞ্চলের প্রকৌশলী ওসমান গনী বলেন, এ বছর আরিচা-কাজিরহাটসহ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৩৮ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে নাব্যতা ঠিক রাখতে ২৪০ ফুট প্রস্থ বেসিং ও ১০ ফুট গভীরতার চ্যানেল তৈরির কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ডুবোচরের কারণে পলি অপসারণ করতে না করতেই আবার চ্যানেল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় চ্যানেলের গভীরতা ঠিক রাখা যাচ্ছে না। কবে নাগাদ এসব ঠিক হবে নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তিনি। চ্যানেল সচল করা গেলে ফেরি চলাচল পুনরায় চালু করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে আরিচা ঘাট এলাকায় আটকা পড়ে ট্রাকের চালক-হেলপারসহ শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় থাকা অন্য যাত্রীরাও দুর্ভোগে রয়েছেন।
সারাবাংলা/এনজে