ইউক্রেন নিয়ে পুতিন-শলৎসের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনা
১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৭
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প। ইতোমধ্যে তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনে কথা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে তারা কথা বলেছেন।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প ফোনে পুতিনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপে পর্যাপ্ত মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধানে তারা আবার আলোচনা করবেন বলেও ঠিক হয়েছে।
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনে কথা হয়। তবে ইউক্রেন জানিয়েছে, ট্রাম্প যে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন, সেই খবর তাদের কাছে ছিল না। ট্রাম্পের সঙ্গে এই ব্যক্তিগত কথপোকথন নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে ট্রাম্পের জয়ের পর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ‘ইতিবাচক বার্তা আসছে। অন্ততপক্ষে কেউ শান্তির কথা বলছেন, সংঘাতের কথা নয়। তবে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগে তারা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করবে।
অন্যদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গেও ট্রাম্পের ইউক্রেন নিয়ে কথা হয়েছে। শলৎস ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন, ইউক্রেনকে যেন আগের মতোই সাহায্য করা হয়।
জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে মনে করে দিয়ে শলৎস বলেন, ইউরোপে শান্তি ফেরানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে।
রোববার সন্ধ্যায় শলৎস সরকারি ব্রডকাস্টার এআরডি’র টক শোতে বলেন, ‘আমার নীতি একেবারে স্পষ্ট। সাধারণভাবে বলতে গেলে, ঘরে যারা আছে, তাদের সঙ্গেই তো আপনি নাচতে পারবেন। এটা যুক্তরাষ্ট্রের নব প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রেও খাটে।’
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, জার্মানি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কম খরচ করছে। শলৎস বলেছেন, ‘আমরা এখন জিডিপি-র দুই শতাংশ অর্থ প্রতিরক্ষায় খরচ করছি। ন্যাটো নির্দেশিকা অনুসারে এই পরিমাণ অর্থ প্রতিরক্ষাখাতে খরচ করতে হয়।’
সারাবাংলা/এইচআই