আধুনিক হচ্ছে ভৈরব নদী বন্দর, ৩৬ কোটি টাকার অর্থায়ন
১১ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০৭
ঢাকা: ভৈরব নদী বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেজন্য ব্যয় হচ্ছে ৩৬ কোটি টাকা। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে হচ্ছে প্রকল্পটি।
নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভৈরব নদীবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের ৩ টি পল্টুন নির্মাণ করা হবে। আর শিগগিরই এসকল কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) ভৈরবে মেঘনা নদীর বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। সেটির সমাধান করা হয়েছে। গতকালই অনুমোদন হয়ে গেছে। আজ হয়ত কার্যাদেশ চলে যাবে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্য কাজ শেষ করার লক্ষ্যে প্রস্ততি চলছে বলেও জানান তিনি।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব নদী বন্দরকে পুরানো একটি নদী বন্দর উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি বড় প্রকল্প, যা আন্তর্জাতিকভাবে টেন্ডার হবে কয়েকদিনের মধ্য। এখানে জেটির কাজ করতে গিয়ে নদীর পাড়ের দোকানদারদের মালিকানার সঠিক কাগজপত্র থাকলে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। যাদের কাগজ নেই, তাদের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।
কাজটি করতে গিয়ে ভৈরববাসীর সাময়িক অসুবিধা হলেও তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন, কাজটি আগামী বছর শেষ হলে এর সুফল ভোগ করবে ভৈরবের জনগণ। এতে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতিসহ মালামাল উঠানামা, লঞ্চ চলাচলে ঘাটে লঞ্চ ভেড়ানোসহ যাত্রীদের উঠানামার অসুবিধা দূর হবে। এ ছাড়া আশুগঞ্জ পাড়েও ভারতীয় ঠিকাদারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক টার্মিনাল তৈরি হবে। এই টারমিনালের কাজটি আগের সরকার টেন্ডার দিয়ে গেছে। আশুগঞ্জ টার্মিনাল ঘাটটি নির্মাণের পর চালু হলে ভারত- বাংলাদেশ যৌথভাবে ঘাটটি ব্যবহার করবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য রোববার (১০ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ে ভৈরবের কাজের ফাইলটি স্বাক্ষর করার পর আজ ভৈরবে এসে স্বচক্ষে কাজের জায়গাটি পরিদর্শন করলাম। এর কারণ হচ্ছে কাজটি দ্রুত যথাসময়ে আমরা শেষ করতে চাই। যথাসময়ে কাজ শেষ করতে না পারলে প্রকল্পের টাকা বিশ্বব্যাংক ফেরত নিয়ে যাবে। কাজেই কাজের সুযোগ আমরা হারাতে চাই না।’
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, প্রকল্প পরিচালক আয়ূব আলী।
সারাবাংলা/জেআর/এনজে