টাঙ্গাইলে সাবেকমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের ১৫ দিনের রিমান্ড
১১ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩১ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১০:২১
টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে দুটি হত্যা ও একটি ভাংচুর মামলায় সাবেকমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাককে ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকালে আব্দুর রাজ্জাককে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়। এ সময় তার বিচারের দাবিতে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকালে তার দিকে ডিম ছুড়ে মারা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাককে প্রথমে মধুপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তাকে গত ৪ আগস্ট মধুপুর উপজেলা সদরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনায় তাকে গ্রেফতার দেখানো এবং সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন পুলিশ। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসীন তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর পর তাকে টাঙ্গাইল সদর আমলী আদালতে হাজির করা হয় আব্দুর রাজ্জাককে। সেখানে টাঙ্গাইল শহরে গত ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত স্কুলছাত্র মারুফ হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো এবং ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ওই আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পশুপতি বিশ্বাস আব্দুর রাজ্জাককে মারুফ হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সর্ব শেষে আব্দুর রাজ্জাককে মির্জাপুর আমলী আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে পুলিশ মির্জাপুরে গুলিতে নিহত কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো এবং ওই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক ইসমত আরা আব্দুর রাজ্জাককে ইমন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে অ্যাডভোকেট একেএম শামীমুল আক্তারসহ ২৫জন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন। তারা আব্দুর রাজ্জাকের জামিন প্রার্থনা করেন।
টাঙ্গাইল অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পিপি শফিকুল ইসলাম রিপন জানান, তিনটি মামলায় তাকে ১৫ দিনের রিমান্ড দোওয়া হয়েছে। তার মধ্যে মধুপুর উপজেলায় গত ৪ আগস্ট হামলার ঘটনায় একটি মামলা ও অপর দুটি হলো- মির্জাপুরে ইমন হত্যা ও টাঙ্গাইল সদরে মারুফ হত্যা মামলা। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড শুনানীতে খুশি তবে তার উপযুক্ত শাস্তি হলেই আমরা সন্তুষ্ট হবো।
গত ১৪ অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর নিউ ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সারাবাংলা/এসআর