Sunday 08 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ নভেম্বর ২০২৪ ০০:০২ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৫৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর

ঢাকা: সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আর্থিক অনিয়মে দুর্বল হয়ে পড়া ব্যাংকে আরও বেশি অর্থ সহায়তা দিতে সবল ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসতে হবে। সেইসঙ্গে যেসব ব্যাংক ঋণপত্র বা এলসি দায় পরিশোধে বিলম্ব করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে ১৭টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেন গভর্নর। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে ছিলেন রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের এমডি এবং বেসরকা‌রি খাতের ব্র্যাক ব্যাংক, ইস্টার্ন, সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্‌ বাংলা, পূবালী, প্রাইম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, যমুনা, সাউথ-ইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীরা। বৈঠকে ডলার মার্কেট, দুর্বল ব্যাংকের পরিস্থিতি, ক্রেডিট কার্ড রেট, রাইট-অফ পলিসি, ব্যাংকারদের ব্যধাতামূলক ডিপ্লোমা পরীক্ষা এবং সার্বিক অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘যেসব ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি ভালো রয়েছে, তারা যেন সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে আরো বেশি তারল্য সহায়তা করে সেই আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর।’

তিনি বলেন, ‘ডলার মার্কেট নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না তা গভর্নর জানতে চান। ব্যাংকগুলো জানায়, ডলার মার্কেটে আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। জানুয়ারি পর্যন্ত আরও উন্নতি হবে। বর্তমানে ডলার মার্কেটে চ্যালেঞ্জ না থাকলেও ওভারডিউ বা মেয়াদোত্তীর্ণ এলসির দায় পরিশোধে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কিছু ব্যাংক এলসির দায় যথাযথ সময় পরিশোধ করছে না। এতে করে অন্য ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়‌ছে।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে গভর্নরের বক্তব্য উদ্বৃত করে তিনি বলেন, ‘ডলার মার্কেটে কেউ যাতে কারসা‌জি না করে। কোনো ব্যাংক যাতে বেশি দরে বিক্রির জন্য ডলার ধরে না রাখে। আবার ক্রস কারেন্সিতে ট্রান্সফার করে লাভবান হওয়ার চেষ্টা না করে। ভবিষ্যতে যেসব ব্যাংক এলসির দায় পরিশোধে বিলম্ব করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের এলসি খুলতে দেওয়া হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডের পেছনে ব্যাংকগুলোর অনেক খরচ। সেই অনুযায়ী সুদহার অনেক কম। তাই ব্যাংকগুলো সুদহার বাড়ানোর জন্য গভর্নরকে অনুরোধ করেছেন। এছাড়া রাইট-অফ পলিসি পরির্বতনের করতে বলা হয়। রাইট-অফ করার দুই বছর পর যে মামলা করা যায়, তা যেন সঙ্গে সঙ্গে করতে পারে। তবে এই বিষয়ে গভর্নর কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি। ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর