দাবি মেনে নিয়েছে মন্ত্রণালয়, জবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার
১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৪১ | আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৩০
ঢাকা: শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। আমি নিজে উদ্যোগে পাস করিয়ে নিয়েছি। বিষয়টি শিক্ষার্থী জানে না বলেই দাবি তুলেছে।
এদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি মেনে নেওয়ায় জবি ক্যাম্পাস নির্মাণসহ যে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছিল শিক্ষার্থীরা সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টার দফতরে বৈঠক শেষে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তারা।
আন্দোলনের সংগঠক উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, ‘তারা (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। তাই তিন দিনের আলটিমেটাম থাকছে না। যেহেতু আমাদের দাবি মেনে নিয়েছেন সেহেতু কর্মসূচি থেকে সরে আসছি আমরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা জানিয়েছেন দ্রুত অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করবেন। এক্ষেত্রে আমাদের সামনের বাজেটে সেগুলো দেখা হবে। এ কাজে যারা দুর্নীতিগ্রস্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছি। বর্তমানে দায়িত্বরত যিনি আছেন তাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি ছিল, সেটিও তারা মেনে নিয়েছেন।’
পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টা তারা নিজেরাও বলেছে ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। তাদের আন্দোলনের আগেই অনেক কিছু করিয়ে দিয়েছি। তাদের ছোটখাটো কিছু দাবি আছে, সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। ক্যাম্পাস নির্মাণের যে দাবিটি করা হয়েছে সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা আপডেট ছিল না।
ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদ বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের সম্পূর্ণ নতুন একটা ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে এভাবে এত বড় একটা নতুন ক্যাম্পাস আগে কখনো তৈরি করা হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এত বড় একটা মেগা প্রকল্প আমরা নেব কি না, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল। কিন্তু একনেকের গত মিটিংয়ে সেটি অনুমোদন হয়েছে। যেটা আমাদের ছাত্র ও শিক্ষকরাও জানেন না। কারণ, এখন পর্যন্ত সেটার কার্যবিবরণী জারি হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটা মেগা প্রজেক্ট হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এর শুরুটা হবে এখন।’
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘চলমান প্রকল্প নিয়ে আমি তাদের অভিযোগ বুঝতে পারি। এত বছর ধরে প্রকল্পটা কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি। তারা বলছে যে, প্রকল্প পরিচালক অনেক দুর্নীতি করেছে। আমি বলেছি তদন্ত করে দেখুক, কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সেই প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গেছে, আধুনিক ছাত্রবাস, প্রশাসনিক ভবন, ক্লাসরুম, স্কুল, চিকিৎসাকেন্দ্র সর্বোপরি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসে যা যা সুবিধা থাকা দরকার, সবই থাকবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে। আর এই ক্যাম্পাস হবে রাজধানীর অদূরে কেরাণীগঞ্জে, যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বিশাল স্থান বরাদ্দ করা হয়েছে। এটিই হবে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় ক্যাম্পাস।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম