রাবিতে বহিষ্কৃত চিকিৎসককে পুনর্বাসনে অপচেষ্টার প্রতিবাদ
১২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:৩০
রাবি: যৌন হয়রানির দায়ে বহিষ্কৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিকিৎসাকেন্দ্রের উপপ্রধান ডা. মো. রাজু আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পুণর্বাসনের অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড়ে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোড় থেকে একটি মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাপটেন এম মনসুর আলী প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় প্যারিস রোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে অবস্থান নিয়ে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিবাদের দোসর ক্যাম্পাসে কেন?/ উই ওয়ান্ট জাস্টিস/ রাজুর কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও/ লুইচ্চা রাজুর গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে/ রেপিস্টের গালে গালে, জুতা মারো তালে তালে’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘যৌন নিপীড়নের দায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩১নং সিন্ডিকেট সভায় ড. রাজুকে বহিষ্কৃত করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন ড. রাজুর স্ত্রীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বাসা বরাদ্দ দেয়। যার ফলে তিনি এই ক্যাম্পাসে আবার পুনর্বাসিত হলো। এছাড়া তিনি হাইকোর্টে রিট করছে। এই রিটের মাধ্যমে তিনি আবার ক্যাম্পাসে পুনর্বহাল হওয়ার চেষ্টা করতেছে। ড. রাজু একজন চিহ্নিত ফ্যাসিস্ট এবং যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এছাড়াও তিনি স্বাধীনতা পরিষদের একজন সদস্য। এই ধরণের একজন ফ্যাসিস্টকে আবার কারা এই ক্যাম্পাসে বাসা বরাদ্দ দিল? এটা নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লাকি এনাম বলেন, ‘ডা. রাজু আহমেদ আমাদের বিভাগের এক শিক্ষকের মেয়েকে যৌন হয়রানি করেছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে চিকিৎসাকেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি কিছু কুচক্রী মহল তাকে পুণর্বাসনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে আজকে আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছি।’
এসময় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এইচআই