গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
১৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩০
ঢাকা: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসাধীন থাকা জুলাই আন্দোলনের সবাইকে দেখতে না যাওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ জানিয়েছে আহত ও তাদের স্বজনরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুদ্ধদের তোপের মুখে হাসপাতাল ছাড়তে হয় তাদের। এ সময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার নিটোরের জরুরি বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ দিন ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুককে নিয়ে নিটোর পরিদর্শনে যান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা। এ সময় হাসপাতালের চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে বের হয়ে যেতে চান উপদেষ্টা। তবে এ সময় তিন তলায় থাকা আহত রোগী ও তাদের স্বজনরা তাদেরকে দেখতে না যাওয়ার অভিযোগে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হাসপাতালের চতুর্থ তলায় প্রত্যেকটি রোগীর খোঁজ খবর নেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় তিনি সেই ফ্লোরে থাকেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পর সাংবাদিকরা কিছু বলার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় আশেপাশের লোকজনকে স্বাভাবিকভাবেই সরতে বলা হয়। তবে কেউ একজন হাত দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছিল। এতেই শুরু হয় হট্টগোল। তবে কে কাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি।
এই ঘটনার পরবর্তীতে হাসপাতালের নিচে এসে বিক্ষুব্ধরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় গাড়িটিতে হাত দিয়েই আঘাত করতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে গাড়ির চালককে নেমে যেতে বলে।
এ সময় নিরূপায় হয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত অন্য একটি গাড়িতে করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়কে অবস্থান নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার দাবিতে নিটোরের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয় হয়।
এ সময় বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ জানান, তারা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাদের চিকিৎসায় যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সেটিও তারা পাননি।
তবে এ বিষয়ে কোনো কিছু জানায় নি নিটোর কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। সুবিধামতো সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
সারাবাংলা/এসবি/এমপি