জেনেভায় উপদেষ্টাকে হেনস্থা: একজনকে প্রত্যাহার, আরেকজনকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত
১৪ নভেম্বর ২০২৪ ০১:২৭ | আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০:১৯
ঢাকা: সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দরে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে হেনস্থার ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছে সরকার। এর সঙ্গে আওয়ামী আমলে জেনেভা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা ও স্থানীয় এক কর্মীর যোগসূত্র থাকতে পারে বলে প্রতিবেদন পেয়েছে ঢাকা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই দুজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, জেনেভায় লেবার কাউন্সেলর মুহাম্মদ কামরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে ফিরতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় কর্মী হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মচারী মিজানকে চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্থার ঘটনায় তিন মূল হোতাসহ প্রায় সবাইকেই শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ওই ঘটনার পর বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জরুরি পরিপত্র পাঠানো হয়েছে। পরিপত্রে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিদেশ সফরে যথাযথ প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে রাষ্ট্রদূতসহ সবাইকে সর্বতোভাবে সচেষ্ট থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, জেনেভাকাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম জমাদার সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ঘটনার দিনে মাফলার পরিহিত ছিলেন তিনি। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরে মরোক্কোর এক নারীকে বিয়ে করে বর্তমানে জেনেভায় থিতু হয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় দ্বিতীয় মাস্টারমাইন্ড শ্যামল খান সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। টাঙ্গাইলের শ্যামল জেনেভায় মুনসুন নামে ছয়টি গ্রোসারি শপের মালিক। সোনা ও ডলারের ব্যবসা রয়েছে তার। ফ্রান্স সীমান্তে তার একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
একই ঘটনায় তৃতীয় পরিকল্পনাকারী খলিলুর রহমান ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সুইজারল্যান্ড শাখার আহ্বায়ক। তার বাড়ি নোয়াখালীতে। মানবাধিকার বিষয়ক একটি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাছাড়া রু-দ্য পাকি এলাকায় সাজনা নামে একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে তার।
প্রতিবেদনে উপদেষ্টার প্রটোকলে নিযুক্ত লেবার কাউন্সেলর কামরুল ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি ২৯ ব্যাচের কর্মকর্তা। ২০২০ সালে জেনেভা মিশনে পদায়ন হয় তার। এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ সচিবের পিএস ছিলেন। গ্রামের বাড়ি বরিশাল অঞ্চলে।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর