যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে রিপাবলিকান সিনেটর মার্কো রুবিও-কে মনোনীত করেছেন। বৈদেশিক সম্পর্ক ও গোয়েন্দা বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য মার্কো রুবিও এক সময় ট্রাম্পের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীও ছিলেন।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রুবিওকে পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন ট্রাম্প।
রুবিওকে নিয়ে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিনি আমাদের দেশের হয়ে শক্তভাবে লড়বেন। আমাদের মিত্রদের প্রকৃত বন্ধু হবেন এবং তিনি একজন নির্ভীক যোদ্ধা যিনি আমাদের প্রতিপক্ষদের কাছে কখনও হার মানবেন না।’
চীনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ৫৩ বছর বয়সী মার্কো রুবিও কিউবার কমিউনিস্ট সরকারেরও তীব্র সমালোচক এবং ইসরাইলের জোরালো সমর্থক। আমেরিকার ভূ-রাজনৈতিক শত্রুদের নিরিখে আরও দৃঢ় পররাষ্ট্র নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে তার দৃষ্টিভঙ্গি ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে অনেকটাই মিলে গেছে।
ইসরাইলসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশীদারদের পক্ষে এপ্রিল মাসে যে ১৫ জন রিপাবলিকান সিনেটর ভোট দিয়েছিলেন, রুবিও তাদের একজন।
এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সাহায্যের জন্য বিশাল সামরিক ত্রাণ প্যাকেজের বিরোধিতা জানিয়েছিলেন তিনি।
গাজায় যুদ্ধের বিষয়ে ট্রাম্পের মতোই রুবিও ইসরাইলের পক্ষে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন এবং একে নিশ্চিহ্ন করতেই হবে। আমেরিকার ভূমিকা হলো, এই কাজটি সম্পূর্ণ করতে ইসরাইলকে পুনরায় সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা।’
রুবিও চীনের কট্টর সমালোচক। হংকং-এ গণতন্ত্রের দাবিতে বিক্ষোভে তার অবস্থানের জন্য ২০২০ সালে বেইজিং তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।