চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তিনি ব্রাজিলের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদানের লক্ষে রাষ্ট্রীয় সফরে ব্রাজিলে পৌঁছেছেন শি জিনপিং।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই সফরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক আরও জোরদার, দুই দেশের উন্নয়ন কৌশল, অভিন্ন স্বার্থের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলোর সমন্বয়ের প্রচারের বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি উন্মুখ হয়ে আছেন।
চীনের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই সফর দুই দেশের কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাসকে আরও জোরদার করবে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা গভীর করবে।’
জি২০ নেতাদের ১৯তম বৈঠকে শি বলেন, তিনি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে এবং উন্নয়নের সন্ধানে সকল পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। এর পাশাপাশি একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্ব গঠনে এবং সার্বজনীনভাবে একটি লাভজনক ও অর্থনৈতিকভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বিত বিশ্বায়নকে সমর্থন করেন।
উল্লেখ্য, চীন ব্রাজিলের শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার। ২০২৩ সালে এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১৮০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে সেমিকন্ডাক্টর, ফোন এবং ফার্মাসিউটিক্যালস রপ্তানিতে চীন আধিপত্য বিস্তার করেছে।
এদিকে,গত বছর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা একটি সূক্ষ্ম ভারসাম্যমূলক নীতি বজায় রাখছেন। যাতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার পাশাপাশি চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক আরও গভীর করতে চান।
ইউক্রেনের সংঘাতে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী অবস্থানে রাখার চেষ্টা করছে ব্রাজিল এবং চীন উভয়ই। রাশিয়াকে আক্রমণের জন্য অনুমোদন দিতে অস্বীকার করেছে এই দুই দেশ।
ব্রাজিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন এই বছর বেইজিং সফরকে ব্রাজিলের জন্য চীনের বিশাল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ অবকাঠামো প্রকল্পে যোগদানের পথ প্রশস্তকারক হিসেবে দেখছেন।
পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ এই উদ্যোগে সই করেছে যা বিদেশে চীনের প্রভাব বিস্তারে প্রেসিডেন্ড শির জন্য একটি কেন্দ্রীয় স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।
বাসস