নাটোরে ৭ বছর পরে শিশু ধর্ষণ মামলার বিচার
১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৫
নাটোর: জেলায় ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক হযরত আলী (৪২) এর যাবজ্জীবন জেল, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হযরত আলী সদর উপজেলার বাগরুম গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর বয়সী ওই ভিকটিম শিশু নাটোর সদরের বাগরুম গ্রামের স্থানীয় ব্র্যাক শিশু নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৮ সালের ৮ জুলাই বরাবরের মতো দুপুরের পর অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্র্যাক নিকেতনের শিক্ষিকা সুফিয়া খাতুনের স্বামী হযরত আলীর কাছে প্রাইভেট যায় পড়তে যায় শিশুটি।
প্রাইভেট পড়া শেষে শিক্ষক হযরত আলী শিশুটিকে পরীক্ষার প্রশ্ন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শিশুটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে ধর্ষণ করে ওই শিক্ষক।
১২ জুলাই দুপুরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। এরপরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে হযরত আলীকে আসামি করে নাটোর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
হামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, ‘২০১৮ সালের এই শিশু ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি হযরত আলীর উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ