‘আপনারা দেশের ইতিহাস সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন’
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৭
ঢাকা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, অতীতে যারা এসেছিল তারা যদি বাংলাদেশের ইতিহাস সঠিকভাবে নির্ধারণ না করে থাকে, তাহলে আপনারা সেই ইতিহাস সঠিকভাবে নির্ধারণ করুন। তারই ধারাবাহিকতায় ২রা মার্চ পতাকা দিবসকে যথাযথ স্বীকৃতি দিলে শুধু আ স ম আব্দুর রব গৌরবান্বিত হবে না, দেশের প্রতিটি নাগরিক গৌরবান্বিত হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস ২ মার্চ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের দাবিতে ‘হৃদয়ে পতাকা ২রা মার্চ’ নামক সংগঠনের প্রতিবাদী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন সাহানা সুলতানা এবং পরিচালনা করেন মঞ্জুর হোসেন ঈসা। এতে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডির) সহ-সভাপতি এবং আ স ম আব্দুর রবের স্ত্রী তানিয়া রবসহ অন্যান্যরা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ইতিহাসের বিভিন্ন পটভূমির প্রসঙ্গ তুলে ধরে মঈন খান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে এবং সর্বশেষ ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের ভিতর দিয়ে স্বৈরাচারি সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই সমস্ত ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা।’
তিনি বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে ছাত্র-জনতা কী ভূমিকা পালন করেছে, সেটা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস নয়, বিশ্ব ইতিহাসের অংশ হিসাবে থাকবে। সেই বিশ্বাস আমার আছে।’
আয়োজক সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের এখানে নতুন করে দাঁড়াতে হয়েছে, একটি বিশেষ দিনকে সম্মাননা জানানোর জন্য। দিনটি ২ মার্চ ১৯৭১। সেদিন পাকিস্তানের যে জাতীয় সংসদ, সেই জাতীয় সংসদের অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রতিবাদের মুখে সেই সংসদ অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছিল। সেই দিনটি কাকতালীয় ছিল না। সেদিন আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে কলাভবনে পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। যে পতাকা আপনারা বলেছেন লাল সবুজের পতাকা, আমি বিনীতভাবে বলতে চাই সেটা শুধু লাল সবুজের পতাকা না। সেই পতাকার কেন্দ্রস্থলে ছিল সোনালী বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন পতাকা উত্তোলন করেছিলেন আ স ম আব্দুর রব। তখনো স্বাধীনতার ঘোষণা আসেনি। স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলিত হয়েছিল স্বাধীনতার ঘোষণার আগে। এটা একটি ইউনিক ইতিহাস। আমরা সেই ইতিহাসের অনুসারি হিসাবে নিজেদের গর্বিত মনে করি। সেই দিনটিতে এই রাজধানীতে হাজার হাজার ছাত্রের ঢল নেমেছিল। আজকের নতুন প্রজন্ম যে ঢল দেখেছে ৫ আগস্ট।’ সেদিনের পরিস্থিতি ৫ আগস্টের চেয়ে আলাদা কিছু ছিল না বলেও দাবি করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ২রা মার্চ পতাকা উত্তোলনে চার নেতা আ স ম আব্দুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ, আব্দুস কুদুস মাখনের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের ইতিহাসে তাদেরকে আমরা কতটুকু সম্মান দিয়েছে এই প্রশ্নও আজকে উঠবে?’
সারাবাংলা/এনআর/এইচআই