Sunday 24 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীদের সড়ক অবরোধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৪০

মইজ্জ্যারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একপাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত কর্মীরা হারানো চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। তারা ‘বিতর্কিত’ শিল্পগ্রুপ এস আলম’র প্রভাবমুক্ত হওয়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের (এসআইবিএল) সাবেক কর্মী।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একপাশ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে যানজটের কারণে দুর্ভোগে পড়েন দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-বান্দরবানমুখী যাত্রীরা।

বিজ্ঞাপন

অবরোধকারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মরতে হলে মরব, চাকরি নিয়ে ফিরব’- এমন বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সেখানে পুলিশ থাকলেও তাদের কোনো হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি।

কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মনির হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এস আলমের ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাঁটাই হয়েছে। তারা চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে রোড ব্লক করেছিল। ঘণ্টাখানেক ছিল। পরে আবার তারা সরে গেলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা মইজ্জ্যারটেকে মহাসড়কের চট্টগ্রাম নগরী থেকে দক্ষিণ অভিমুখী অংশটি অবরোধ করে রেখেছিলেন। এতে নগরী থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যানবাহন শাহ আমানত সেতুর ওপর আটকা পড়ে। এতে সপ্তাহের প্রথম খোলার দিনে কর্মজীবী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।

বেসরকারি একটি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা বাপ্পা চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘অফিসের কাজে কক্সবাজার যাচ্ছিলাম। ব্রিজের ওপর বাসের মধ্যে একঘন্টা ধরে আটকে আছি। দুপুরের মধ্যে কক্সবাজার পৌঁছাতে না পারলে ক্ষতি হয়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

তবে এসময় দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে নগরীমুখী সেতুর অপরপ্রান্ত দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

গত ৫ নভেম্বর একই ব্যাংকের শতাধিক সাবেক কর্মী চাকরি ফেরতের দাবিতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছিলেন। সেই মানববন্ধন থেকে দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তারা।

সেখানে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছিলেন, নিয়ম মেনে চাকরিতে প্রবেশ করলেও তাদের চাকরিচ্যুত করার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কোনো ধরনের নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বিনা নোটিশে ৬৭২ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেসরকারি শরিয়াহভিত্তিক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) পর্ষদ এস আলমমুক্ত হয়।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর