ইবিতে র্যাগিং: প্রতিবেদন চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়
২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩:১১
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নবীন শিক্ষার্থীদের ‘পর্ন তারকা সাজিয়ে র্যাগিংয়ের অভিযোগ’ শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত গড়িয়েছে। মন্ত্রণালয় র্যাগিংয়ের ঘটনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে উপাচার্য বরাবর।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুল ইসলামের সইয়ে চিঠিটি ইস্যু হয়েছে গত বুধবার (২০ নভেম্বর)। রোববার ওই চিঠির একটি কপি সারাবাংলার হাতে এসেছে। চিঠিতে ইবিতে শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা ও পাঁচ শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
র্যাগিংয়ের ওই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, শরিফুল ইসলাম লিমন, কান্ত বড়ুয়া, জিহাদ, শফিউল্লাহ, তরিকুল মুকুল এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
আরও পড়ুন- ইবিতে ফের র্যাগিং: তদন্ত কমিটি গঠন, মামলার প্রস্তুতি
জানা গেছে, গত ১৮ নভেম্বর মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে নবীনদের র্যাগিংয়ের অভিযোগ ওঠে ৯ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে পাঁচজন হলের শিক্ষার্থীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েন। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী একটি মেসে ও হলে তাদের ১৭ দিন ধরে শারীরিক, মানসিক ও যৌন হয়রানিমূলক নির্যাতন করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর বিষয়টি মাত্রা ছাড়ালে জানাজানি হয়ে পড়ে।
ঘটনার পরদিন ১৯ নভেম্বর ওই ৯ জনকেই অভিযুক্ত করে ইবি থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন। পরে থানায় আটক পাঁচ শিক্ষার্থীকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। পরদিন ২০ নভেম্বর আদালত অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। একই দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর র্যাগিংয়ের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুন- ইবিতে ফের র্যাগিং, পর্ন তারকা সাজিয়ে অভিনয় করানোর অভিযোগ
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৯ নভেম্বর হলের প্রাধ্যক্ষকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে দ্রুততম সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।
লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে যে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে তা আমরা রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বলেন, হল থেকে প্রতিবেদন আমার কাছে দিয়েছে। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যত দ্রুতসম্ভব পাঠানো হবে।
জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শাহীনুল ইসলাম বলেন, পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনা অবগত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন চেয়েছি।
সারাবাংলা/টিআর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় র্যাগিং র্যাগিং তদন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়