চট্টগ্রামে খুনের পর লাশ গুমের মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: মাছ ধরার জাল নিয়ে বিরোধের জেরে একজনকে নৃশংসভাবে খুনের পর লাশ গুমের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (দেউলিয়া বিষয়ক আদালত) মো. জাহাঙ্গীর আলম এ রায় দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সরোয়ার হোসাইন লাবলু সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন- উজ্জ্বল জলদাস ও সজল জলদাস। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামে।
আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৭ জুলাই রাতে পশ্চিম বিনাজুরী গ্রামের জেলেপাড়ার বাসিন্দা অসীম জলদাস মশার কয়েল কেনার জন্য দোকানের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন তার লাশ পশ্চিম বিনাজুরী স্লুইচ গেট কার্যালয়ের পেছনে সেফটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়। অসীমকে গলায় ছুরিকাঘাত করে নির্মমভাবে হত্যার পর লাশ গুম করে রাখার অভিযোগে তার স্ত্রী সাবিত্রী জলদাস রাউজান থানায় মামলা করেন।
প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পেয়ে পুলিশ উজ্জ্বল ও সজলকে গ্রেফতার করে। উভয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়ার পর আদালত আসামিদের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। পরে তাদের সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসাইন লাবলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসামিরা পরস্পর মামাতো-ফুপাতো ভাই। আসামি উজ্জ্বলের বাবার সঙ্গে মাছ ধরার বড় জাল নিয়ে ভিকটিম অসীমের বিরোধ হয়েছিল। সেটার প্রতিশোধ নিতে অসীমকে অতিরিক্ত মদ খাইয়ে খুন করা হয়। অপরাধ আড়াল করতে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল।’
‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি দিয়েছেন আদালত।’
সারাবাংলা/আরডি/ইআ