ডা. মিলন দিবসে সিপিবি’র শ্রদ্ধা
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৩৪
শহিদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) চত্বরে ডা. মিলনের কবরস্থানে ও টিএসসির মোড়ের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বীর শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) শহিদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানায় সিপিবি।
ডা. মিলনের কবরস্থানে ও টিএসসির মোড়ের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুর রহমান, ডা. আবু রকিব, ডা. ফারুকীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সিপিবি নেতারা বলেন, ‘১৯৯০-এ স্বৈরাচার উচ্ছেদ করলেও স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করা যায়নি। এ সময় ক্ষমতায় থাকা দলগুলো নিজেদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে নিজেরাই স্বৈরাচারী কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছিল। দেশকে অবাধ লুটপাটের ক্ষেত্র করা হয়েছিল। গণতন্ত্রহীনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে পুরো ভোট ব্যবস্থাই ধ্বংস হয়েছে সে সময়। সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম হয়েছিল। গণতন্ত্রহীনতার মধ্যে স্বৈরাচারী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও বেড়ে উঠেছিল।’
তারা আরও বলেন, ‘২০২৪ সালে হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে। এবারের গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে, স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদের পাশাপাশি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ৯০ এর গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে বাস্তবায়িত করবে।’
স্বৈরাচারী ব্যবস্থা উচ্ছেদ ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নিতে নীতি-নিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তুলতে হবে বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে চিকিৎসক নেতা ডা. মিলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। যা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করে।
সারাবাংলা/ এ এইচ এইচ/এসডব্লিউ