চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টকে পদক্ষেপ জানাবে রাষ্ট্রপক্ষ
২৭ নভেম্বর ২০২৪ ২১:৪০
ঢাকা: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের সময় আইনজীবী হত্যার প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ঘটনা নিয়ে গণমাধ্যম আসা প্রতিবেদন উপস্থাপন করে মো. মনির উদ্দিন নামে এক আইনজীবী আদালতের স্বতঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করেন।
আবেদনে আইনজীবী মনির উদ্দিন ইসকন নিষিদ্ধ করা এবং চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও রংপুরে আপাতত ১৪৪ ধারা জারির দাবি জানান।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আরজি জানান আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন।
এমন প্রেক্ষাপটে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্যও শোনেন। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষকে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) অগ্রগতি জানতে বলা হয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে পরে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইসকন নিয়ে আজ একজন আইনজীবী দুটি পত্রিকায় আসা প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। স্বতঃপ্রণোদিত রুল ইস্যুর প্রার্থনা করেন। তার প্রার্থনার মূল প্রতিপাদ্য— ইসকনকে যেন নিষিদ্ধ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যাতে নির্দেশ দেওয়া হয়, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হয়। ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা, অন্তত আগামী দুই সপ্তাহ।
এ পরিস্থিতিতে আদালত আইনজীবীকে ডেকে পাঠান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতের সামনে তিনি বলেন, ইসকনের ইস্যুটা দুর্ভাগ্যজনক। যে আইনজীবী এটা এনেছেন, তার হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এই রক্তক্ষরণ বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের হৃদয়ের। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এ ঘটনা ফৌজদারি অপরাধ। সরকার গুরুত্বসহকারে এ ঘটনাকে দেখছে, যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেবে।’
সারাবাংলা/কেআইএফ/এইচআই