যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ঘোষণায় সরবরাহ বন্ধের হুমকি চীনের
২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:০৫
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রথম দিনেই চীন, মেক্সিকো এবং কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দিলে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীন জানিয়েছে, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হলে তারা যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ বন্ধ করবে। ‘চায়না ডেইলি’ সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা হিসেবে দেখছে বেইজিং। যদিও এটি সামরিক যুদ্ধ নয়, তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এর প্রভাব অত্যন্ত গভীর হতে পারে। চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হলে এর চড়া মূল্য দিতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম প্রেসিডেন্ট মেয়াদেও চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে তার প্রশাসন চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছিল, যা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল। ট্রাম্পের পরবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও সেই নীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।
২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ফিরে আসার পর ট্রাম্প আবারও চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসন গঠনের প্রথম দিন থেকেই চীনের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা জানিয়ে দিয়েছেন।
চীন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের অর্থনৈতিক চাপ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০১৮ সালের বাণিজ্য যুদ্ধের সময় থেকেই বেইজিং পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিভিন্ন আইন পাস এবং কৌশলগত পরিকল্পনা করে আসছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীন এখন আর আগের মতো যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সহ্য করবে না। বরং তারা পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দেবে। বেইজিংয়ের লক্ষ্য মার্কিন কোম্পানিগুলোকে শিল্প উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের সরবরাহ ব্যাহত করা।
ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ জুড ব্লাংকেট বলেছেন, বেইজিং এখন আরও আত্মবিশ্বাসী এবং তারা চাপের মুখে নয়, বরং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার পথে হাঁটবে।
চীনের এই সতর্ক বার্তা ইঙ্গিত দেয় যে, ভবিষ্যতে এই বাণিজ্য যুদ্ধ আরও গভীর হতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।
সারাবাংলা/এনজে