Sunday 01 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইজতেমায় সাদপন্থিদের হামলার বিচার চায় জুবায়েপন্থিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২৮ | আপডেট: ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৯

এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা

ঢাকা: মাওলানা সাদপন্থিদের দ্বারা ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরে টঙ্গী ইজতেমার মাঠে ঘটা নৃশংস বর্বর হামলায় বিচার চেয়েছে মাওলানা জুবায়েরপন্থিদের অনুসারীরা৷ ওই আক্রমণের ঘটনার পুরো দায় সাদপন্থিদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এর পেছনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন থাকার অভিযোগ করেছেন জুবায়েরপন্থীরা।

রোববার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘১ লা ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ওলামা-তোলাবা ও তাবলীগের নিরিহ সাথীদের উপর সাদপন্থিদের নগ্ন হামলার বিচারের দাবিতে’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে। ‘ওলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশ’ এর ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মাওলানা জুবায়েরপন্থিরা৷

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুফতি আমানুল হক। তিনি বলেন, ‘সাদপন্থিদের সেদিনের বর্বর ও ন্যাক্কারজনক আক্রমণ শুধু বাংলাদেশের ভেতরেই নয়; বহিঃবিশ্বেও দাওয়াত ও তাবলীগের মুবারক মেহনতের মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। বিদেশি সাথীদের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশে বিদেশি মেহমানদের আগমন হ্রাস পেয়েছে। যা আমাদের বাংলাদেশের জন্যে উদ্বেগজনক। দুঃখজনক বিষয় হলো, ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরের সেই টঙ্গী ট্র্যাজেডির পেছনে দিল্লির মাওলানা সাদ সাহেব নিজেও সম্পৃক্ত ছিলেন। তার ইন্ধন, উত্তেজনাকর বয়ান ও বিদেশি শক্তির কলকাঠির ফলেই বাংলাদেশের মাটিতে সাদপন্থীরা এমন নৃশংস আক্রমণের সাহস পেয়েছিল।’

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘টঙ্গীর ইজতেমার মাঠে নিরীহ নিরস্ত্র (বয়োবৃদ্ধসহ) তাবলীগী সাথী, সাধারণ মুসল্লী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক, উলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা ছাত্রদের ওপর সাদপন্থীদের এই নৃশংস একতরফা আক্রমণকে পরদিন বিভিন্ন মিডিয়াতে তাবলীগের দু’ পক্ষের সংঘর্ষ হিসেবে তুলে ধরা হয়, আমরা তার প্রতিবাদ আগেও করেছি। আজও করছি। এটা কখনই দু’পক্ষের সংঘাত ছিল না। এটি ছিল সাদপন্থিদের একতরফা নৃশংস ও বর্বর আক্রমণ। যা বিশ্ববাসী মিডিয়ার কল্যাণে প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা সেখানে ছিলাম নিরীহ মজলুম।’

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে মুফতি আমানুল হক বলেন, ‘আমরা চাই জনগণের এই সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের মাধ্যমে অতি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ২০১৮ এর টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস হামলা ও হতাহতের ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করবেন। অপরাধীদের সনাক্ত করবেন এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করবেন।’

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘আজকের বৈষম্যবিরোধী প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী হলো, সারা দেশ থেকে কীভাবে হাজার হাজার সাদপন্থি সন্ত্রাসী ঢাকায় জড়ো হলো? এবং কীভাবে টঙ্গীতে একত্র হলো? তা আপনারা তদন্ত করে খতিয়ে দেখুন, প্রকৃত সত্য জাতির সামনে পেশ করুন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।’

শীর্ষ মুরব্বি আব্দুল হামিদ পীরসাহেব বলেন, ‘২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা তৎকালীন সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থানরত আমাদের সাথীদের ওপর একতরফা হামলা চালায়৷ এটি কোনভাবেই দুপক্ষের সংঘর্ষ ছিল না।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজত ইসলামের প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতউল্লাহ আজহারী, শীর্ষ আলেম মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানায়া লোকমান মাজাহারীয়া, মুফতি মাসুদুল করিম, মুফতি বশির উল্লাহ প্রমুখ।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ

জুবায়েরপন্থি টঙ্গী ইজতেমা হামলা বিচার দাবি সাদপন্থি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর