চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন বিকেলে কড়া নিরাপত্তায় তাদের আদালতে আনা হয়।
চট্টগ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বী সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সোমবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদেরকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হলে আদালত সেটা মঞ্জুর করেন।
নয়জন হলেন- সুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, সনু মেথর, রুমিত দাশ ও দুর্লভ দাশ
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় নয়জনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত সেটা মঞ্জুর করেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বত্তরা। এছাড়া সংঘর্ষে পুলিশের ১০ সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৩৭ জন।