৫ বছরে সড়কে নিশ্চিহ্ন দেড় শতাধিক পরিবার
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১৭ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:৩৭
ঢাকা: সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে পুরো পরিবার নিহতের প্রবণতা বাড়ছে। গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদন বলা হয়, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, মোটরবাইক, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে একসঙ্গে পুরো পরিবার বা এক পরিবারের বেশি সদস্য নিহতের প্রবণতা বাড়ছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা যায় গত পাঁচ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় দেড় শতাধিক পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
গত পাঁচ বছরে মোটরসাইকেল আরোহী হিসেবে স্বামী-স্ত্রী নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১২৩টি এবং পিতা-পুত্র নিহতের ঘটনা ঘটেছে ৮৪টি। অর্থাৎ ১২৩টি বাইক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন ২৪৬ জন এবং ৮৪টি দুর্ঘটনায় পিতা-পুত্র নিহত হয়েছেন ১৬৮ জন।
অটোরিকশা যাত্রী হিসেবে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের দুই জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১৩৭টি। তিন জন নিহতের ঘটনা ৭৮টি, চার জন নিহতের ঘটনা ৬২টি, পাঁচ জন নিহতের ঘটনা ৩৮টি, ছয় জন নিহতের ঘটনা ২৬টি এবং সাত জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। মোট ৩৫২টি পরিবারের ১১৭৯ জন নিহত হয়েছেন।
মাইক্রোবাসের আরোহী হিসেবে একই পরিবারের দুই জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ১৬টি, তিন জন নিহতের ঘটনা ২২টি, চার জন নিহতের ঘটনা ১৭টি, পাঁচ জন নিহতের ঘটনা ১১টি, ছয় জন নিহতের ঘটনা আটটি এবং ১১ জন নিহতের ঘটনা একটি। মোট ৭৫টি পরিবারের ২৮০ জন নিহত।
প্রাইভেটকার আরোহী হিসেবে একই পরিবারের দুইজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। তিন জন নিহতের ঘটনা ২১টি, চার জন নিহতের ঘটনা ১৭টি, পাঁচ জন নিহতের ঘটনা ১৪টি। মোট ৭৬টি পরিবারের ২৪৯ জন নিহত।
অ্যাম্বুলেন্স আরোহী হিসেবে তিনজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে ৯টি, চারজন নিহতের ঘটনা পাঁচটি, পাঁচ জন নিহতের ঘটনা তিনটি, আট জন নিহতের ঘটনা একটি। মোট ১৮টি পরিবারের ৭০ জন নিহত।
দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে-
সড়ক অবকাঠামো বিস্তৃত হওয়ায় পরিবারের সকলে একসঙ্গে বেড়াতে বা কোনো কাজে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে, মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচল, অধিকাংশ মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্সের ফিটনেস না থাকা, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স চালকদের অদক্ষতা ও বিশ্রামহীন ড্রাইভিং করা, ট্রাফিক আইন না মেনে বেপরোয়া মোটরযান চালনা।
দুর্ঘটনা এড়াতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চার সুপারিশ-
- মোটরবাইক আরোহীদের ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করা,
- ট্রাফিক আইন মেনে মোটরযান চালানো,
- মহাসড়কে রোড ডিভাইডার ও সার্ভিস রোড নির্মান করা এবং
- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্বারা সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল নজরদারি করা।
সারাবাংলা/ইআ