জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমলো দেড় শতাংশ
আগামী বাজেটের আকার ৮ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন
৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:৩৮ | আপডেট: ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৪৮
ঢাকা : আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার ৮ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এটি প্রাথমিক প্রাক্কলন, পরবর্তীতে এর আকার বাড়তে বা কমতেও পারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের মূল আকার হচ্ছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত চলতি অর্থবছরের আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের প্রথম সভায় এ প্রাক্কলন করা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পর আর্থিক সংকট, ব্যবসায়িক স্থবিরতা ও রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিডিপি ( মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমানো হয়েছে, মূল্যস্ফীতির হার যৌক্তিক করা হয়েছে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় গৃহীত প্রকল্পগুলো কাটছাঁট করা হয়েছে।
সূত্রমতে, বৈঠকে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা দেড় শতাংশ কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। মূল বাজেটে এ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
বৈঠকে জানানো হয় যে, অক্টোবর থেকে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কে অবস্থান করছে। এ প্রেক্ষিতে অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা কমে ৯ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছিল।
আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। সে লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ এবং সরকারের ব্যয়েও কৃচ্ছ্রতা বজায় রাখা হবে বলে সূত্র জানায়। তবে উন্নয়ন ব্যয় খুব বেশি কমানো হবে না। কারণ জিডিপি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার।
সূত্রমতে, বৈঠকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া প্রকল্প বাদ দিয়ে এডিপি থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। ফলে প্রাথমিকভাবে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের আকার দাঁড়াচ্ছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা।
অন্যান্যের মধ্যে বৈঠকে জানানো হয় যে, চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তে পারে। বিভিন্ন সরকারি বন্ডে উচ্চ সুদের হার (১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত) এবং বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি এর প্রধান কারণ।
প্রসঙ্গত চলতি অর্থবছরে মূল বাজেটে সুদ পরিশোধের জন্য ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় ঋণের জন্য ৯৩ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশি ঋণের জন্য ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
সারাবাংলা/আরএস