আলমসাধুর ২ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুজনের
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০০:৪৬ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:২৬
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় আলাদা দুই সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ দুজন নিহত হয়েছেন। দুটি দুর্ঘটনাতেই জড়িত যানবাহন ছিল আলমসাধু তথা স্থানীয়ভাবে শ্যালে ইঞ্জিনে চালিত তিন চাকার যানবাহন। এ ধরনের যানবাহন চলাচলের কোনো অনুমতি নেই। এর মধ্যে এক দুর্ঘটনায় আলমসাধুর চালক নিজেই নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী ও জীবননগর উপজেলার কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
এক দুর্ঘটনায় নিহত শিশু রাফিয়া খাতুন (৪) জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের কর্চ্চাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ গাজীর মেয়ে। আরেক দুর্ঘটনায় নিহত আলমসাধুর চালক সেলিম (২৫) সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের হাটপাড়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
জীবননগর উপজেলার শাহাপুর ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শিশু রাফিয়া রাস্তার ওপর খেলছিল। এ সময় একটি দ্রুতগতির শ্যালো ইঞ্জিন চালিত অবৈধ আলমসাধু ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাস্থলেই রাফিয়ার মৃত্যু হয়।
এসআই মেহেদী বলেন, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী রাফিয়ার মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ডিঙ্গেদহ বাজারে কাজ সেরে আলমসাধু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন চালক সেলিম। পথে হিজলগাড়ী মাদরাসার অদূরে দ্রুতগতিতে চলমান আলমসাধুটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনাস্থলেই সেলিম নিহত হন।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের এএসআই আমিরুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় সুরতহাল শেষে সেলিমের মরদেহ হস্তান্তর করা হয় পরিবারের কাছে।
এএসআই আমিরুল ইসলাম বলেন, হিজলগাড়ী-নেহালপুর গ্রামের মাঝামাঝি এল ব্লকের কাছে চলন্ত আলমসাধুটি উলটে যায়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই চালক সেলিম হোসেনের মৃত্যু হয়।
সারাবাংলা/টিআর