বিশ্বের যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত বাংলাদেশ
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৫:৫১ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০:১৮
জ্যামাইকা টেস্টে ১০১ রানের জয় দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দীর্ঘ ১৫ বছরের জয়খরা কাটাল বাংলাদেশ। এই জয়ে ব্যাটে-বলে দুইভাবেই অবদান রেখেছেন তাইজুল ইসলাম। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে অভিজ্ঞতার ঝুলি মেলে ধরে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট, স্মরণীয় এই জয়ের দিনে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। অনেক প্রাপ্তির এই ম্যাচ শেষে তাইজুল আত্মবিশ্বাসের সাথেই বললেন, বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট এখন বিশ্বের সেরা দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
দুই ইনিংস মিলিয়ে তাইজুল করেছেন ৩০ রান, বল খেলেছেন ১১৬টি। উইকেট নিয়েছেন ছয়টি। পাঁচটি পেয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। সব মিলিয়ে টেস্টে ১৫তম বার নিলেন ইনিংসে পাঁচ উইকেট, দেশের বাইরে যুগ্ম সর্বোচ্চ পাঁচবার। ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে গিয়ে জানালেন দেশের বাইরে বিরুদ্ধ কন্ডিশনে পাওয়া এই জয়ের মাহাত্ম্য তার কাছে কতখানি।
তাইজুল বলেন, ‘অবশ্যই এটা আমাদের কন্ডিশনের বাইরে (জয়)। নিজেদের কন্ডিশনের বাইরে এসে এমন জয় অবশ্যই অনেক বড় কিছু পাওয়ার। আমার কাছে মনে হয় আমাদের ছেলেরা অনেক এফোর্ট দিয়েছে মাঠে। আমাদের চেষ্টা ছিল কোনোভাবে ম্যাচটা জেতার জন্য এবং আলহামদুলিল্লাহ আমরা সফল হয়েছি।’
তাসকিন আহমেদের স্কিল, নাহিদ রানার এক্সপ্রেস পেস, হাসান মাহমুদের কন্ট্রোল আর তাইজুলের অভিজ্ঞতা মিলে এই টেস্টে বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট ছিল দুর্দান্ত। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে অলআউট হলেও নাহিদ রানার প্রথমবার পাঁচ উইকেট শিকারে উইন্ডিজকে পাল্টা ১৪৬ রানে আটকে ডী বাংলাদেশ। পায় ১৮ রানের লিড। আর দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুলের স্পিন জাদুর সাথে তাসকিনের ব্রেক থ্রু, হাসান-রানার শেষের ছোঁয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
এই প্রসঙ্গ টেনে পুরস্কার বিতরণীতে তাইজুলের কাছে প্রশ্ন করেন সঞ্চালক, বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট বিশ্বের বাঘা দলগুলোর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত কিনা? তাইজুলের ঝটপট উত্তর, ‘এখানে অস্বীকার করার মতো কিছু নাই। আমাদের যে পেস বোলিং আক্রমণ আছে, স্পিন আক্রমণ আছে, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই একসাথে খেলে আসছি। সবারই একটা ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমরা ইনশাআল্লাহ বিশ্বের যেকোনো টিমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব।’
সারাবাংলা/জেটি