নামিবিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নান্দি নাদাইতওয়া
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:২২ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২
নামিবিয়ায় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন এসডব্লিউএপিও দলের নেত্রী নেতুম্বো নান্দি নাদাইতওয়া।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের এই ফলাফল প্রকাশ পায়।
৭২ বছর বয়সী নান্দি নাদাইতওয়া বর্তমানে নাবিবিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই জয়ের মাধ্যমে এসডব্লিউএপিও দলটির ক্ষমতায় থাকার মেয়াদ আরও বাড়লো।
দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা দলটি ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে স্বাধীন হয়।
নামিবিয়ার নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুসারে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নান্দি ৫৭ শতাংশের মতো ভোট পেয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হতে হলে প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করার পর নান্দি নাদাইতওয়া বলেন, ‘নামিবিয়ার জনগণ শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য ভোট দিয়েছেন।’
ষাটের দশকে স্বাধীনতার জন্য লড়ছিল এসডব্লিউএপিও। তখন থেকেই এই দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন নান্দি। নামিবিয়ায় গণতান্ত্রিক যুগ শুরু হওয়ার পর নান্দি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ অসংখ্য জ্যেষ্ঠ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে, নির্বাচনে নান্দির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন পান্দুলেনি ইতুলা। ইনডিপেনডেন্ট প্যাট্রিয়টস ফর চেঞ্জ (আইপিসি) দলের এ নেতা নির্বাচনে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন।
নামিবিয়ায় আলাদা করে জাতীয় পরিষদেও ভোট হয়েছে। এসডব্লিউএপিও দলটি সেখানেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। জাতীয় পরিষদে ৯৬টি নির্বাচনী আসনের মধ্যে ৫১টিতে জয়ী হয়েছে দলটি। পরিষদে আইপিসি ২০টি আসনে জয়ী হয়েছে। তারা জাতীয় পরিষদে বিরোধী দল হচ্ছে।
তবে আইপিসি বলেছে, তারা নির্বাচনের ফল চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে তারা।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর নামিবিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন কারিগরি জটিলতা এবং ব্যালট পেপারের ঘাটতির কারণে কিছু কিছু জায়গায় ভোট গ্রহণের সময়সীমা বাড়ানো হয়। এতে ফলাফল ঘোষণা করতে দেরি হয়ে যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, উচ্চমাত্রার বেকারত্ব ও অসমতা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে হতাশা তাকার কারণে নির্বাচনে এসডব্লিউএপিওর এ বিজয় অনিশ্চিত ছিল। তবে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে ভূমিকার কারণে গ্রামীণ এলাকা এবং বয়স্ক ভোটারদের কারণে দলটির শক্ত সমর্থন বহাল ছিল।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ