ঢাকা: বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ভারতের আগরতলা, কলকাতা ও মুম্বাইয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় দুই দেশে মধ্যে বিভক্তি ও বিদ্বেষ বাড়ছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের জীবন সংকটের মধ্যে পড়ছে। এতে দুই দেশের সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো লাভবান হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বামজোটের সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী)-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)-এর সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুবেল সিকদার প্রমুখ।
ভারতের আগরতলা, কলকাতা ও মুম্বাইতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ, প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘কোনো দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত হাইকমিশনকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সে দেশের। কিন্তু ভারত সরকার সে দায়িত্ব পালন করেনি।’
বক্তরা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণের অতিরঞ্জিত প্রচার করে আসছিল। বিজেপি সরকার এটা ক্রমাগত সমর্থন করে গেছে। এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বক্তব্যে বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী নিয়োগের মতো হাস্যকর দাবি তোলা হয়েছে।’
বক্তারা বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকা অবমাননার যে ঘটনা ঘটেছে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য দেশের জনগণকে সজাগ থাকার ও কোনো সাম্প্রদায়িক উস্কানির ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এই বিভেদ ও বিদ্বেষের রাজনীতির বিরুদ্ধে দুই দেশের জনগণের বাম প্রগতিশীল গনতান্ত্রিক শক্তি, দল, সংগঠন ও জনগণের ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি।