ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী র্যালির ঘোষণা ‘ইনকিলাব মঞ্চ’র
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:৫৩ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১৯
ঢাকা: ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা, আজমির শরীফ দখলের ষড়যন্ত্র এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদী র্যালির ঘোষণা করেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আগামী শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস দিবস উপলক্ষ্যে বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশান-২ থেকে ছাত্রজনতাকে নিয়ে শুরু হবে এই র্যালি। শান্তিপূর্ণভাবে র্যালি শেষ করে ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাসে স্মারকলিপি দেবে তারা।
এছাড়া, ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ দিবসকে স্মরণ করে জুম্মার পরে দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেন শরীফ ওসমান বিন হাদি। এ সময় আজমির শরীফ দখলের ষড়যন্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজমির শরিফ মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ শ্রদ্ধা নিয়ে ঘুরতে আসে এখানে। আজমির শরিফের স্থানে আগে শিব মন্দির ছিল বলে সম্প্রতি কোর্টে মামলা করা হয়েছে। আগামী ২০ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি হবে।’
তিনি বলেন, ‘বাবরি মসজিদের মতো ধীরে ধীরে ভারতের এই দখলদারিত্বের ষড়যন্ত্র এগিয়ে যাবে। তারপর একদিন তারা আজমির শরিফ ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। আজমির শরিফ দখলের ষড়যন্ত্র এখনই যদি না থামে, আমরা ভারতের মানচিত্র নতুন করে ঠিক করব। ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালায় পরের দিন ভারত ভেঙে ৬০টি মানচিত্র তৈরি হবে। আমাদের আর মৃত্যুর ভয় নেই।’
সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে শরিফ ওসমান বিন হাদি বলেন, ‘ভারতে ১৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান। এর মধ্য থেকে সরকারি চাকরি করে মাত্র তিন শতাংশ। গত ২০ বছরে গুজরাটে এক হাজারের উপরে মুসলমানকে শুধু পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এছাড়া, প্রতিনিয়ত তাদের উপর নানা নির্যাতন নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে হামলা করে ৩০০০ শিখকে হত্যা করেছে ভারত। ১৯৯৪ সালে মণিপুরে পাঙাল উপজাতির উপর আক্রমণ করে ১৯৩ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, ২০২৩ সালের মে মাসে দুই কুকি নারীকে উলঙ্গ করে হাঁটানো হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় ওই নারীদের ভাই ও বাবাকে হত্যা করেছে। ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের এমন অসংখ্য বীভৎস উদাহরণ দেওয়া যাবে। অথচ তারা আমাদেরকে সম্প্রীতি শেখাতে আসে।’
ইনকিলাব মঞ্চের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল জাবির বলেন, ‘ভারত তার সংখ্যালঘুদের উলঙ্গ করে রাস্তায় ঘোরায়, গরুর মাংস খাওয়ার অপরাধে মুসলমানদের পিটিয়ে মারে, মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণ করে, আর আমাদের তারা সম্প্রীতি শেখায়। আমরা বলে দিতে চাই, আমরা এখন থেকে ভারতের কাছ থেকে শিখব না, ভারতকে শিক্ষা দিব।’
সারাবাংলা/এআইএন/পিটিএম