Wednesday 04 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন’

সারাবাংলা ডেস্ক
৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৪৯ | আপডেট: ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:৪৫

ঢাকা: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আমৃত্যু আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের বিকাশ ও এতদঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যে অবদান রেখে গেছেন জাতি তা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, ‘তার জীবন ও কর্ম আগামী প্রজন্মকে গণতান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা ও জনগণের সার্বিক কল্যাণে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

বিজ্ঞাপন

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’

তিনি বলেন, উপমহাদেশে রাজনীতি ও গণতন্ত্রের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। গণতন্ত্রের মানসপুত্র সোহরাওয়ার্দী ছিলেন প্রতিভাবান রাজনীতিক, আইনজ্ঞ, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভা ও গণপরিষদের সদস্য এবং অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি এতদঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষ ও অবহেলিত মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি স্বল্প সময়ের মধ্যে নাবিক, রেলকর্মচারী, পাটকল ও সুতাকল কর্মচারী, রিক্সাচালক, গাড়িচালকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মেহনতি মানুষের স্বার্থরক্ষায় বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তোলেন।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিচক্ষণ ও প্রজ্ঞাবান রাজনৈতিক সংগঠক উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর অন্যায্য ও গণবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করতে তার ভূমিকা ছিল অনন্য। ১৯৫৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের বিজয়েও তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তথ্যসূত্র বাসস।

সারাবাংলা/এসআর

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর