মজুরি বাড়লেও কোনো প্রভাব নেই সাধারণ ও শ্রমিক পরিবারে
৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩২ | আপডেট: ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০১
ঢাকা : উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে অতি সামান্য মজুরি বৃদ্ধি সাধারণ ও শ্রমিক পরিবারে কোন প্রভাব ফেলছে না বা তাদের কোনো কাজে আসছে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মজুরি হার সূচক অনুযায়ী, সর্বশেষ নভেম্বরে শ্রমিকের মজুরি হার অতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ; যা এর আগের মাসে (অক্টোবর ২০২৪) ছিল ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ।
সারাদেশের ৬৪টি জেলা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মজুরি হার সূচক তৈরি করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিবিএস।
উল্লেখ্য, গত বছর (২০২৩ সাল) নভেম্বরে মজুরি বাড়ার হার ছিল ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ২০২২ সালের নভেম্বরে সার্বিক মজুরি বাড়ার হার ছিল ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বিবিএস বলছে, গত নভেম্বরে কৃষি, শিল্প ও সেবা তিন খাতেই মজুরি হার সামান্য পরিমাণে বেড়েছে। এর মধ্যে কৃষি খাতে মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে এ খাতে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৬ দশমিক ৯০ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিবিএস’র তথ্য মতে, শিল্প খাতে গত নভেম্বরে মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭৩ শতাংশ; যা অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বরে মজুরি বাড়ার হার ছিল ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। এরও আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, সেবা খাতে গত নভেম্বরে মজুরি হার সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া ২০২৩ সালের নভেম্বরে মজুরি বাড়ার হার ছিল ৮ দশমিক ২২ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ। এরও আগে ২০২২ সালের নভেম্বরে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৭ দশমিক ১৭ শতাংশ এবং অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে বিপাকে পড়ছে। একেক দিন একেক নিত্য পণ্যের একেক রকম দাম। ফলে কিছুটা সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে ভিড় বাড়ছে টিসিবির ট্রাক সেলে। ট্রাকের পেছনে দীর্ঘ সারি এবং হুরোহুরিতে বোঝা যায় যে, মানুষের কতটা নাভিশ্বাস উঠেছে। মধ্যবিত্তরা আছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। তারা কারও কাছে হাতও পাততে পারছেন না, আবার সইতেও পারছেন না।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস