Wednesday 11 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আইনজীবী খুনের মামলায় চন্দন-রিপন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৫২ | আপডেট: ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৬

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় প্রধান আসামিসহ দুজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া দুই আসামি হলেন- চন্দন দাস (৩৫) ও রিপন দাস (২৭)।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন জানান, ‘আইনজীবী আলিফ খুনের মামলায় আসামি চন্দন ও রিপনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত চন্দন দাসের সাতদিন ও রিপন দাসের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের প্রধান আসামি চন্দন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে আরেক আসামি রিপন দাসকে গ্রেফতার করা হয়। রিপন এজাহারনামীয় আসামি না হলেও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে হত্যা মামলার আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও ফুটেজে সেদিন রঙ্গম কনভেনশন হল গলিতে কমলা রঙের টি-শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত চন্দনকে ছুরি এবং নীল রঙের টি-শার্ট ও জিন্সের প্যান্ট পরিহিত রিপনকে বটি হাতে সাইফুলকে কোপ দিতে দেখা যায়। এসময় চন্দনের মাথায় সিলভার এবং রিপনের লাল হেলমেট ছিল।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বিক্ষোভ শুরু করেন তার অনুসারীরা। প্রায় তিনঘন্টা আটকে থাকার পর একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করে দুর্বত্তরা।

এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয় মামলায় গ্রেফতার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেফতার রয়েছেন।

সারাবাংলা/আইসি/এনজে

আইনজীবী আসামি চট্টগ্রাম রিমান্ড হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর