গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ শিশুর মৃত্যু
৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:০৮ | আপডেট: ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮:০৫
ঢাকা: রাজধানীর মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনায় আব্দুল্লাহ (১৩) নামে আরেক শিশুসহ পুরো পরিবারের ৪ জন সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর)) সকালে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যায় শিশুটি। এর আগে মারা যায় আব্দুল্লাহর ভাই মোহাম্মদ, তাদের মা রুমা আক্তার ও বাবা আব্দুল খলিল।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. শাওন বিন রহমান আব্দুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আব্দুল্লাহর শরীরের ৩৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মারা যায় শিশুটি।
গত ২৪ নভেম্বর মিরপুরের একটি বাসায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় রঙ মিস্ত্রী খলিলসহ দগ্ধ হন তার স্ত্রী গৃহিণী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিন (২২)। তারা দুজনই গার্মেন্টস কর্মী।
ঘটনার দিন ভোরে খলিল যখন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালান, তখনই জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণের ঘটে।
বর্তমানে ইসমাইল ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ও স্বপ্না ১৪ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দগ্ধ শাহজাহান জানান, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। তখন নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।
তিনি জানান, তাদের বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশে সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ করে আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সে আগুন নেভান।
তার ধারণা, সেই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের রুমের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। যার জন্য এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
নিহত খলিলের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাঙলাবাজার গ্রামে। তিন স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ওই বাসায় ভাড়ায় থাকতেন।
সারাবাংলা/এসএসআর/এসডব্লিউ