ডমিনিকান রিপাবলিকের কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গনমাধ্যমকে জানিয়েছে তারা প্রায় ৯.৫ টন কোকেন জব্দ করেছে, যা দেশের ইতিহাসে মাদকদ্রব্য জব্দের সর্ববৃহৎ অভিযান।
জব্দকৃত কোকেনের বাজারমূল্য প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার। মাদকগুলো একটি কলার চালানের মধ্যে লুকানো ছিল, যা রাজধানী সান্তো ডোমিংগোর কাউসেডো বন্দরে পৌঁছেছিল। কাউসেডো বন্দর দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর। চালানটি গুয়েতমালা থেকে পাঠানো হয়েছিল এবং বেলজিয়ামে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানিয়েছেন ডমিনিকান রিপাবলিকের অ্যান্টি-ড্রাগ এজেন্সির মুখপাত্র কার্লোস ডেভার্স।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় বা মাদক চক্রের সঙ্গে তাদের সংযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এ বছর ডমিনিকান রিপাবলিক কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪৭ টন মাদক জব্দ করেছে। এর আগে, ২০০৬ সালে একই বন্দরে ৫,৬৮০ পাউন্ড (প্রায় ২,৫৮০ কিলোগ্রাম) কোকেন জব্দ করা হয়েছিল, যা তখন পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ জব্দ অভিযান ছিল।
ডমিনিকান রিপাবলিক দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অতিক্রম পথ হিসেবে পরিচিত। লাতিন আমেরিকা থেকে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় মাদক সরবরাহের ক্ষেত্রে দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুবন্ধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত, এর কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং সমুদ্রবন্দরগুলো মাদক চোরাচালানের জন্য আকর্ষণীয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, গুয়েতমালা থেকে বেলজিয়ামে চালানটি পাঠানোর বিষয়টি একটি বৃহত্তর আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের ইঙ্গিত হতে পারে। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার মাদক উৎপাদক দেশগুলো থেকে ইউরোপে সরবরাহের ক্ষেত্রে এই ধরনের পদ্ধতি অতি সাধারণ।
ডমিনিকান রিপাবলিকের নিরাপত্তা বাহিনী মাদক চোরাচালান রোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখালেও, বিশাল মাদক চক্রগুলোকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এরজন্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আরও উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।