‘স্বৈরাচার সরকারের দোসররা দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে’
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:২১ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:২৬
ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, শেখ হাসিনা চলে গেছেন, তার দলের নেতাকর্মীরাও গোপনে রয়েছেন। তবে তাদের দোসররা কিন্তু রয়ে গেছে। তারা নানাভাবে দেশের ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে ‘গণ-আকাঙ্ক্ষা, গণ-অভ্যুত্থান প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা সংবিধান সংস্কার বিষয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের চাপ আছে। তারা নির্বাচন চান। সেটা দিতেই হবে। কিন্তু যে রক্তের ওপরে দাড়িয়ে সংস্কার শুরু করেছি সেটা তো আমাদের করতেই হবে।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, অন্তর্বতী সরকার ক্ষমতায় না, আমরা দায়িত্ব নিয়েছি। যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা যেন ক্ষমতায় না বসে, এটাই হলো সংস্কার। আমরা ক্ষমতায় না দায়িত্বে দেখতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এই বার্তা পৌঁচাতে হবে।
বাংলাদেশকে নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার ও ভয় দেখাচ্ছে ভারত। তাদের এই প্রোপাগান্ডাকে বাংলাদেশ ভয় পায় না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারত আমাদের ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে বলে ভয় দেখাচ্ছে। ভারত জুলাই আগস্ট ঠেকাতে পেরেছে? শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে রাখতে পেরেছে? তাহলে তারা আমরা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তবে তারা (ভারত) একটা ভালো করেছে, তারা সকল রাজনৈতিক ঐক্য তৈরি করেছে এটা ধরে রাখতে হবে।
সবাইকে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে উল্লেখ করে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করাতেই হবে।
তিনি বলেন, ধর্মীয় পরিচয়ে বিভাজন কেন? মানুষ পরিচয় তৈরি করতে হবে। আমাদের মানুষের সম্প্রীতি তৈরি করতে হবে।
কৃষি একটি অবহেলিত খাত বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সকল ফসলের হিসাব পাবেন কিন্তু কৃষকের হিসাব নেই। ডিমের দাম বেড়ে গেলে আমদানির কথা বলা হয়। কিন্তু এতে কৃষকের ক্ষতি হবে। যখন চালের দাম বাড়ে তখন বলা হয় আমদানির কথা, আমরা ভাবি কি করে আমদানি না করে পারা যায়। সে পরিকল্পনা করা। মাছের ক্ষেত্রেও একই। গ্রামে গঞ্জের জেলে-মৎস্যজীবীদের তালিকার কথাও বলেছেন অনেকে।
ফরিদা আখতার বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় জমি ইজারা দেয়, মাছ চাষের অনুমতি দেয় মৎস্য মন্ত্রণালয়। আমরা কত দিন থাকি জানি না, তবে যতদিন থাকি ততদিন চেষ্টা করব নতুন কিছু করার। ডিম যখন ঢাকায় আসে, তখন কারওয়ান বাজারে আসে সাত হাত পরিবর্তন হয়ে। সেখানে এক টাকা করে বাড়লেও কত টাকা বাড়ে দেখুন। এই চাঁদাবাজি এক মন্ত্রণালয থেকে বন্ধ করা সম্ভব না।
সারাবাংলা/জেআর/ইআ