শেখ হাসিনা একজন প্যাথলজিক্যাল খুনি: সারজিস
৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬ | আপডেট: ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন প্যাথলজিক্যাল খুনি বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। নগরীর পিটিআই অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’র পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সারজিস আলম বলেন, ‘গোপালগঞ্জের শেখ পরিবার থেকে উঠে আসা প্যাথলজিক্যাল খুনি। তিনি গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। এই খুনি বাংলাদেশ পুলিশকে টিস্যুর মতো ব্যবহার করে দেশের মানুষকে খুন করেছিল। পুলিশ নামক এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে একটি কথা বলতে চাই। আপনাদের পোশাক দেখে এখনও আমাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি হয়। এর জন্য যেমন খুনি হাসিনা দায়ী, তেমনি আপনাদের ব্যক্তিত্বও দায়ী।’
পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার লোভে, পদের লোভে আপনাদের অনেকে ওই পোশাক পরে সারা বাংলাদেশে নানা কুকর্ম করেছেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যদি চাইতো, পাঁচ হাজার মানুষকে পাঁচ তারিখে খুন করে ওই খুনি হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে রাখতে পারতো। তারা কিন্তু সেটা করেনি। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের কথা চিন্তা করেছেন। আপনারা (পুলিশ) কিসের কথা চিন্তা করেছেন ? আপানারা চিন্তা করেছেন শুধু আপনাদের পদবির কথা, ওই খুনির হুকুমের কথা।’
শেখ হাসিনাকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি করে সারজিস বলেন, ‘হাসিনা যদি প্যাথলজিক্যাল খুনি না হতেন, তাহলে তিনি দুই হাজার খুন করতেন না। কোনো জীবনের জন্য যদি তার কোনো সহানুভূতি থাকত, তাহলে তিনি এত প্রাণ কেড়ে নিতে পারতেন না।’
তিনি বলেন, ‘খুনিরা নতুন করে ফিরে আসছে, নতুন গল্প লিখছে এবং যারা তাদের পুনর্বাসন করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্বিতীয়বার রাজপথে নেমে জীবন দিতে প্রস্তুত। ৫ আগস্টের আগে যেমন আমরা একসঙ্গে জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম, তেমনি খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে এবং সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আবারো একসঙ্গে জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা আমাদের জায়গা থেকে জীবন দিতে শিখে গিয়েছি। এই বাংলাদেশে কোনো দালাল, কোনো তোষামোদকারীর আর জায়গা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও যারা শহিদদের পরিবার নিয়ে, এই আন্দোলন নিয়ে নানা কথা বলছে, তারা শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট, যা সে এতো বছর লালন করেছে। এসব কীটদের যদি পাখা গজায় তাহলে আজ থেকে ৫ বছর পর তারা শহিদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে আমরা প্রস্তুত।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০৫জন শহিদের পরিবারের প্রত্যেকটিকে ৫ লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়। এসময় শহিদ পরিবারের সদস্যদের অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সারাবাংলা/আরডি/এইচআই