আসাদ সরকারের পতন নিয়ে কী বলছেন বিশ্বনেতারা
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:০৯ | আপডেট: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:৩১
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে গোটা বিশ্বে। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরও অনেক দেশের নেতারা।
ট্রাম্পের দাবি, বাশার আল-আসাদ রাশিয়ার সমর্থন হারিয়ে তার দেশ থেকে পালিয়েছেন।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তার দল সিরিয়ার এই অবিশ্বাস্য ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং দেশটির সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছেন।’
ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিকলি বলেন, ‘সিরিয়ার অধিকাংশ অঞ্চল এখন আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের তথ্যমন্ত্রী মোয়াম্মার আল-ইরানি তার এক্সে লিখেছেন, ‘ইয়েমেনিরা তাদের প্রজ্ঞা ও অটলতার সঙ্গে ইরান এবং হুথিদের পরিকল্পনাকে ব্যর্থ করতে সক্ষম হয়েছে, ঠিক যেমন সিরিয়া এবং লেবাননে সেই পরিকল্পনাগুলো ব্যর্থ হয়েছিল।’
ইউএই প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাশ বলেন, ‘অ-রাষ্ট্রীয় অভিনেতাদের রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগানোর সুযোগ দেওয়া উচিত নয়।’
বাহরাইনের রাজধানী মানামা ডায়ালগ সিকিউরিটি ফোরামে গার্গাশ বলেছেন, ‘সিরিয়ার উদ্ঘাটন ঘটনা রাজনৈতিক ব্যর্থতা এবং সংঘাত ও বিশৃঙ্খলার ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতির একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।’
সিরিয়ায় জাতিসংঘের দূত গেইর পেডারসেন বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা এমন একটি পরিস্থিতি খুঁজে বের করতে পেরেছি যেখান থেকে বেরিয়ে আসার একটি রাজনৈতিক উপায় আছে। এই উপায়টি আগে যা ছিল তার থেকে আরও আলাদা হওয়া দরকার। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া হওয়া দরকার যা প্রত্যেককে অন্তর্ভুক্ত করে এবং যেখানে আমরা সত্যিই ঐক্য, স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার উপর ফোকাস করি। যেখানে সিরিয়া তার সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং এখানকার সব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে।’
ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি বলেছেন, ‘আমি শুরু থেকেই সিরিয়া পরিস্থিতির বিবর্তন অনুসরণ করছি। আমি দামেস্কে আমাদের দূতাবাস এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।’
ফিলিপাইনের পররাষ্ট্র বিভাগ জানায়, ‘আমরা সিরিয়ায় আমাদের ফিলিপিনোদের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং তাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং দামেস্কে ফিলিপাইন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পরামর্শ দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেন বিদ্রোহীরা। এর মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালান। তবে দামেস্ক ছাড়লেও তিনি বর্তমানে কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
সারাবাংলা/এসডব্লিউ